ক্লাউড জুস বার ব্যবসা শুরু করার সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন

বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে জুস বার ব্যবসা কমন এবং লাভজনক একটা ব্যবসা। আপনার এলাকায় যদি ইতিমধ্যে ৪টি জুস বার ব্যবসা স্টল থাকে তাহলে আপনিও একটা স্টল দিয়ে ৫টি করুন। কারণ এটার প্রতিযোগিতা যত বৃদ্ধি পায় ততই বেশি বিক্রি বাড়ে। সতর্ক থাকতে হবে যেন খাবারের স্বাদ ও মান যেন ঠিক থাকে।

আর যদি চান ইতিমধ্যে যে ৪টি জুস বার স্টল রয়েছে তাদের সবার থেকে এগিয়ে গিয়ে ৪টি স্টলের ক্রেতাদের টার্গেট করবেন। তাহলে আপনি শুরু করতে পারেন একটা ক্লাউড জুস বার ব্যবসা।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ

ক্লাউড জুস বার ব্যবসা শুরু করার সঠিক গাইডলাইন ও তথ্য সমূহ:

প্রতিটি ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। চাইলে যদি সবাই ব্যবসা করে সফল হতো তাহলে সবাই ব্যবসা করতো। চাকরি করার কর্মি খোঁজে পাওয়া যেতো না। একটা জুস বার বিজনেস শুরু করতে ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ যথেষ্ট। আর এই টাকা নিয়োগ করার সামর্থ ৮০% ব্যক্তির রয়েছে।

কিন্তু ৮০% ব্যক্তি চাইলেই জুস বার বিজনেস করে সফল হতে পারবে না। কারণ আপনি যে ব্যবসা শুরু করার আগে এই লেখাটি পড়ে শুরু করার সঠিক গাইডলাইন ও তথ্য জেনে নিচ্ছেন তাদের সকলের এটা মাথায় আসবে না। মানে তারা পরিকল্পনা ছাড়া ব্যবসা করে কিছুদিন পরে সরে যাবে।

যাইহোক, আপনার জন্য প্রথম দোয়া রইল যদি আপনি সত্যি একটা লাভজনক জুস বার ব্যবসা করতে চান। ধাপে ধাপে জেনে নিন বিজনেসটা শুরু করার সঠিক গাইডলাইন।

১. একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন:

পরিকল্পনা এমন একটা শক্তি যার পরিকল্পনা রয়েছে তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা এগিয়ে রয়েছে। কেউ পরিকল্পনা ছাড়া সোনার ব্যবসা করে তাতেও সে ব্যর্থ হবে। সঠিক পরিকল্পনা হলো ব্যবসায় সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি।

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি

কিভাবে ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করতে হয় সেটাও আপনাকে জানতে হবে। অন্যতায় সঠিক একটা ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা সহজ হবে না। ভালো পরিকল্পনা করার জন্য চাইলে দক্ষ কোনো সফল ব্যবসাীর সাহায্য নিতে পারেন। তবে বুদ্ধি থাকলে অন্যের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন নেই। গুগল ও ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে দক্ষ শিক্ষক। এখান থেকে আপনি সঠিকভাবে শিখতে পারবেন।

আরও পড়ুন:   বাংলাদেশের সকল পাইকারি বাজারের ঠিকানা ও টিপস

যদি আমাদের কাছ থেকে শিখতে চাও কিভাবে একটা বিজনেস প্ল্যান তৈরি করতে হয়, তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সের মধ্যে আপনার আগ্রহের কথা লিখে কমেন্ট করুন। আপনার একটা কমেন্ট যথেষ্ট হবে।

যেখানে আপনার জুস বার নিরাপদ হবে এমন একটা এলাকা খুঁজুন:

নিরাপদ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।

যেমন:

• কাস্টমার সংকট না হওয়া
• মাল সংগ্রহ করার সুযোগ থাকা
• লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা মুক্ত থাকা
• কাস্টমার যাতায়াত সুবিধা থাকতে হবে, ইত্যাদি।

আমরা আলোচনার শুরুতে আপনাদের দু'টি কথা বলেছি। একটা হচ্ছে আপনার এরিয়াতে একটা জায়গা ঠিক করে কাজ করা। দ্বিতীয় হচ্ছে ক্লাউড জুস বার ব্যবসা করা। বর্তমানে তরুণদের জন্য ক্লাউড ফুড ব্যবসা সহজ, জনপ্রিয়, স্মার্ট ব্যবসা।

ব্যবসার সরঞ্জামের একটি তালিকা তৈরি করুন:

সরঞ্জাম ছাড়া ব্যবসা সম্ভব না। এক্ষেত্রে জুস বার ব্যবসার জন্য ব্লান্ডার, জুস গ্লাস, পার্সেল ব্যাগ, জুস বার ডেকোরেশন ইত্যাদি। এসব সরঞ্জাম ছাড়া একটা জুস বার ব্যবসা শুরু করা সম্ভব না।

ক্লাউড জুস বার বিজনেস শুরু করলে সরঞ্জাম তালিকা ভিন্ন হবে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো জায়গা ঠিক না করে আপনার বাড়িতে প্রস্তুত করে বিক্রি করতে পারবেন। অনেক টাকা খরচ করে ডেকোরেশন করার প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে একটা অনলাইন স্টোর তৈরি করতে খরচ করতে হবে।

৪. কি ধরনের জুস বার শুরু করতে চান তা নির্ধারণ করুন:

ক্লাউড জুস আইটেম
ক্লাউড জুস আইটেম

জুস বিভিন্ন রকমের রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন কোন ক্যাটাগরির জুস বিক্রি করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে। ক্যাটাগরি বা আইটেম নির্ধারণ করার সময় এমন আইটেম গুলো নির্বাচন করবেন সেগুলো প্রস্তুত করার নিয়মাবলি সম্পর্কে আপনার ধারণা রয়েছে।

নতুন কোনো আইটেম বাড়ানোর আগে কাস্টমারদের পছন্দ যাচাই করার জন্য ট্রায়াল অফার করুন। যাতে আপনি বুঝতে পারেন নতুন জুস আইটেম যুক্ত করা উচিত কিনা।

আরও পড়ুন:   ৩১টি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা ও গাইড ২০২৩

আইডিয়া নেওয়ার জন্য নিচে কিছু জুস আইটেমের নাম দেওয়া হলো:

• তাজা রস
• প্রস্তুত-তৈরি রস এবং smoothies
• ফলের রস
• সবজির রস
• ফল এবং সবজি সঙ্গে smoothies
• ভিটামিন এবং খনিজযুক্ত পানীয় (যেমন, খেলার পানীয়)
• বিশেষ খাদ্যের জন্য রস (যেমন, ল্যাকটোজ মুক্ত) এবং খাদ্যতালিকাগত পরিপূরক (যেমন, ভেজি ক্যাপসুল)
• শিশুদের জন্য রস এবং smoothies
• স্মুদি
• আম, পেঁপে, আনারস এবং অন্যান্য গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফলের রস
• বরই, এপ্রিকট এবং অন্যান্য পাথর ফলের রস
• আপেল, নাশপাতি এবং অন্যান্য ফলের রস
• বিটরুট এবং পালং শাকের রস
• টমেটো এবং সবজির রস
• এনার্জি ড্রিংকস (এনার্জি শট)
• অন্যান্য অস্বাভাবিক স্বাদের জুস, ইত্যাদি।

জুস অনুযায়ী মেনু পরিকল্পনা করুন:

মেনু গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমার চাহিদা অনুযায়ী মেনু ঠিক করুন। জুস বারের সাইজ বা জুসের পরিমাণ অনুযায়ী মেনু ঠিক করতে হবে।

কতটুকু জুস পান করলে একজন ক্রেতার চাহিদা পূরণ হবে তা বুঝতে হবে। ছোট ও বড় আকারে মেনু ঠিক করতে হবে। বড় মেনুটি একজন ক্রেতার তৃপ্তি ও চাহিদা দু'টি পূরণ করতে হবে। অনেকেই ছোট মেনু অর্ডার করার পর আবার অর্ডার করবে। এটি আপনার জুস কোয়ালিটির উপর নির্ভর করবে।

একটি বিক্রয় তালিকা তৈরি করুন এবং এটি সামনে আটকে রাখুন:

জুস মূল্য তালিকা
জুস মূল্য তালিকা

পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিটি মেনুর বিক্রয় মূল্য ঠিক হবে। মূল্য নির্ধারণ করার সময় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বুঝে ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার উৎপাদন খরচ ও সার্প করার খরচ বাদ দিয়ে কত প্রফিট থাকবে তা হিসাব করে মূল্য ঠিক করুন।

বিক্রয় তালিকাটি সবসময় ক্রেতাদের চোখের সামনে রাখুন। এতে করে আপনাকে বার বার মেনুর দাম জিজ্ঞেস করবে না। এবং ক্রেতারা মূল্য দেখে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী জুস অর্ডার করতে পারবেন।

আপনার আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করুনঃ

অনলাইন বা অফলাইন যেখানে হোকনা কেন। আপনার ব্যবসার আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অফলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রে যেকোনো সময় ধান্দা বাজদের হাতে পড়তে পারেন। ব্যবসার মূলধন ও প্রফিট যেন সুরক্ষিত থাকে তার জন্য সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে হবে।

ক্লাউড জুস বার ব্যবসা করলে আপনাকে পেমেন্ট সুবিধা ও সিকিউরিটি উভয় নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন বিজনেস পরিচালনা তুলনামূলক সহজ। এটিতে টাকার লেনদেন নিশ্চিত করাও সহজ। চুরি বা ধান্দা বাজদের কবলে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে সবসময় অনলাইন সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ অনলাইনেও আপনার টাকা চুরি হতে পারে।

আরও পড়ুন:   ১৫টি উপায় ও টিপস যা সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সাহায্য করবে
ক্লাউড জুস বার ব্যবসা

জুস বার ব্যবসা এর জন্য নাম ঠিক করুন:

নাম দিয়ে কাম কি? নাম হচ্ছে অসাধারণ একটা কৌশল আপনার ব্যবসা পরিচিত করার জন্য। সেটা অনলাইন বিজনেস হোক বা কোনো স্পটে এনালগ জুস বার ব্যবসা হোক। সুন্দর একটা ব্যবসার জন্য নাম ঠিক করুন।

কোনো স্পটে বিজনেস শুরু করলে নাম শুধুমাত্র সুন্দর ও আকর্ষনীয় হলে হলো। তবে যদি আপনি অনলাইনে এই ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে যে নামটা ঠিক করবেন সেটা দিয়ে কেউ ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করেছে কি-না তা যাচাই করে দেখবেন। অন্য কেউ যদি নামটা রেজিষ্ট্রেশন করে থাকে তাহলে আপনি নামটা আর ব্যবহার করতে পারবেন না।

এজন্য অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে নামটা রেজিষ্ট্রেশন করা বুদ্ধিমানের কাজ। না হয় সবকিছু গোছানোর পরে নাম রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা হবে। ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য সবসময় ভালো একটা কোম্পানির সন্ধান করবেন। অন্যতায় বিভিন্ন সমস্যা হবে। সিকিউরিটির জন্য ভালো কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কোম্পানি হলো:

এছাড়াও আরও অনেকগুলো জনপ্রিয় কোম্পানি রয়েছে। আপনি খোঁজ নিলে পেয়ে যাবেন। তবে এখানে দেওয়া ৪টি কোম্পানির যেকোনো সেবা কোনো চিন্তা না করে নিতে পারবেন।

ব্যবসায়িক পারমিট এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন:

জুস বার ব্যবসায়িক পারমিট এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
জুস বার ব্যবসায়িক পারমিট এবং লাইসেন্সের জন্য আবেদন

এটা যদি অনলাইনে করেন, তাহলে আগে শুরু করুন। প্রথম সরকারি রেজিষ্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। ব্যবসায়িক পারমিট হচ্ছে আইন মেনে ব্যবসার করার অনুমোদন নেওয়া। অনেকক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবসা না বুঝতে পেরে এটাকে ঝামেলা মনে করেন।

আপনি যদি প্রকৃত একজন উদ্যোক্তা হোন, সত্যি ব্যবসা করতে চান তাহলে ব্যবসা শুরু করার সাথে সাথে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। এটা অনলাইন হোক বা অফলাইন ব্যবসা।

বীমা পলিসি গ্রহণ করুন যা আপনার ব্যবসাকে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে:

বীমা কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করে এটা সম্পর্কে জেনে একটা বীমা সুবিধা নিন। এটা সবার করা উচিত কিন্তু ৮০% করেনা। এটার মানে হচ্ছে যেকোনো সময় যদি আপনার ব্যবসা আর্থিক সম্বল হারিয়ে নষ্ট হতে যায় তাহলে বীমা সুবিধা নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা।

আপনি ব্যবসার শুরু থেকে এই সুবিধা চালু করবেন। যেন যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সামাল দিতে পারেন।

জুস বার ব্যবসা শুরু করা একটি বড় কাজ, তবে এটি করা জটিল হতে হবে না। আপনি জাস্ট একটু নিজেকে পারফেক্ট মনে করতে হবে। তাহলে আপনি এই লাভজনক ব্যবসা করে সুনাম ও টাকা দু'টি অর্জন করতে পারবেন।

2 thoughts on “ক্লাউড জুস বার ব্যবসা শুরু করার সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন”

  1. এখানে একটি জুস বার ব্যবসার নামের জন্য কিছু ধারণা রয়েছে:

    ফ্রেশ স্কুইজ
    জুস জয়েন্ট
    জুসারি
    বিশুদ্ধ রস
    জুস বার
    আমাকে চেপে
    সরস আনন্দ
    সরস স্পট
    অমৃত জুসরি
    ফল ফিউশন

    Reply
  2. এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনও ব্যবসাই সম্পূর্ণরূপে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত নয়, কারণ সবসময় ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা জড়িত থাকে। যাইহোক, আপনার ব্যবসার আর্থিক নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

    এখানে কয়েকটি পরামর্শ:

    একটি কঠিন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন: একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা আপনাকে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলি সনাক্ত করতে এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে সহায়তা করতে পারে।

    আপনার আয়ের ধারাকে বৈচিত্র্যময় করুন: আপনার ব্যবসার জন্য আয়ের একটি উৎসের উপর নির্ভর করবেন না। একাধিক স্ট্রিম থাকা আপনাকে তাদের যেকোনো একটিতে ওঠানামা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

    যত্ন সহকারে আপনার অর্থ পরিচালনা করুন: আপনার ব্যয়ের ট্র্যাক রাখুন, একটি বাজেট তৈরি করুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার খরচগুলি কভার করার জন্য যথেষ্ট আয় তৈরি করছেন৷

    বীমা বিবেচনা করুন: আপনার ব্যবসার উপর নির্ভর করে, আপনি সম্ভাব্য ঝুঁকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য বীমা কেনার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

    একটি বৃষ্টির দিনের জন্য সংরক্ষণ করুন: একটি আর্থিক কুশন থাকা আপনাকে আপনার পথে আসা যেকোনো অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।

    এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করে, আপনি আপনার ব্যবসার আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন। যাইহোক, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে সবসময় ঝুঁকি থাকে এবং কেউ সম্পূর্ণ আর্থিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।

    Reply

Leave a Comment