ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায় নিয়ে যতগুলো অনলাইন ভিত্তিক ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে। সবগুলোই ওয়েবসাইটে মোটামুটি একই ধরনের অনলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো শেয়ার করা হয়ে থাকে। আমাদের যারা পাঠক রয়েছে তারা কিন্তু এই আইডিয়া গুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করবে? এবং অনলাইন থেকে আজও সত্যি ঘরে বসে উপার্জন করা যাবে কিনা? এ বিষয়ে অনেকটা কনফিউশনে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ের যারা অনলাইন থেকে আয় করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতেছেন, তাদের অনলাইন থেকে আয় করা যায় কিনা এই বিষয়ে অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
কারণ ইতিমধ্যে অনলাইন থেকে ইনকাম করে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা রেমিটেন্স বৃদ্ধি করতেছে। ফ্রিল্যান্সাররা যে রেমিট্যান্স নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সংবাদ মাধ্যমে নিউজ করা হচ্ছে।
যেহেতু বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অধিকাংশ মানুষ সময় দিয়ে থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি আপনি টাইম দিয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার অনলাইন থেকে ইনকাম এর বিষয়ে জানা রয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকে বর্তমানে সবাই অনলাইন থেকে ইনকাম এর প্রমাণ গুলো শেয়ার করে থাকেন। যেখান থেকে আপনারা এই বিষয়গুলো জানতে পারেন।
যদি আপনি অনলাইনে ইনকামের বিষয় সম্পর্কে লাইভ দেখতে চান, তাহলে ইউটিউব হচ্ছে আপনার জন্য সেরা একটি প্লাটফর্ম। যেখানে প্রফেশনাল অনলাইন থেকে যারা ইনকাম করে থাকেন। তারা তাদের ইনকাম গুলো কিভাবে করেছে? এবং কত টাকা ইনকাম করেছে? সে বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করেন।
যাই হোক! আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করার উপায় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেগুলো অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোতে প্রকাশিত আইডিয়াগুলো থেকে ভিন্ন নয়। তবে আমরা এমন আইডিয়া গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব, সেগুলোর মাধ্যমে সত্তিকারের অনলাইন থেকে প্রফেশনাল ইনকাম করা যায়। মনে রাখবেন, ফেসবুক এবং অন্যান্য যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে।
এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে অনেক প্রতারক রয়েছে। যারা তাদের মিথ্যা অনলাইন ইনকামের খবরগুলো শেয়ার করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে অনলাইনে ইনকামের বিষয়ে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে মিথ্যা প্রচার করা অনলাইন ইনকামের প্রমাণগুলো দেখে কেউ প্রতারিত হবেন না। কেননা এই সকল প্রমাণগুলো অধিকাংশই মিথ্যা প্রমাণ।
এখন হয়তো আপনাদের প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে কিভাবে বুঝব। যে প্রমাণটি শেয়ার করা হয়েছে সেটি একটি সত্তিকারের প্রমাণ। যেটা অবশ্যই অনলাইন থেকে ইনকাম করা হয়েছে। হ্যাঁ অবশ্যই এ বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তবে আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম এর প্রমাণ গুলো দেখার জন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে যাবেন না। সরাসরি ইউটিউব ভিডিও দেখবেন। যারা প্রফেশনালি এই ইনকামের বিষয়গুলো শেয়ার করে থাকেন।
তবে মনে রাখবেন, ইউটিউবেও অনেক ধরনের অ্যাপস থেকে এবং ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার উপায় শেয়ার করা হয়ে থাকে। আমি আপনাদেরকে পরামর্শ দেবো যে, আপনারা কোন ধরনের অ্যাপস থেকে এবং ওয়েবসাইট এর বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন না। এটি আপনার সময় এবং আপনার ইন্টারনেটের টাকা নষ্ট করবে।
হয়তো দেখবেন অনেকেই আপনাকে তিন ঘন্টা কাজ করিয়ে ৩০ টাকা পেমেন্ট করতেছে। কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল পদ্ধতিতে অনলাইনে ইনকাম করার চেষ্টা করে থাকেন। হয়তো তিন ঘন্টার মধ্যেই আপনি প্রথমে ইনকাম শুরু করতে পারবেন না। কিন্তু ৩০ দিন পরে আপনি আজীবনের জন্য একটা ভালো প্রফেশন তৈরি করতে পারবেন।
ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করার কিছু সত্তিকারের উপায়
সত্যি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় এমন কিছু অনলাইন ইনকাম আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যেগুলো আপনারা ঘরে বসেই করতে পারবেন। তবে আমরা যেটা বলেছি যে, এই আইডিয়া গুলো কিন্তু অন্যদের শেয়ার করা আইডিয়া থেকে ভিন্ন নয়। যখন আর যারা অনলাইন থেকে উপার্জনের বিষয়ে জানতে চাইবেন। তখন অবশ্যই বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করবেন।
আপনারা আর্ন বাংলা ওয়েবসাইটে ও ফেসবুকে আমাদেরকে অনুসরণ করতে পারেন। যদি কোন সমস্যা হয় সরাসরি নিচের কমেন্ট বক্সে গিয়ে আপনি আপনার সমস্যা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনারা প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর অন্যরাও দেখে সেখান থেকে শিখতে পারবে। আমরা আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করব।
এমনকি আমরা এখানে যে সকল অনলাইন অর্থ উপার্জনের আইডিয়া গুলো শেয়ার করব। আইডিয়া গুলো থেকে আপনি কোন আইডিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন। সে বিষয়টি আমাদেরকে শেয়ার করতে পারেন। এবং সে বিষয়ে যদি আমাদের কাছ থেকে কোনো ফ্রী টিপস এবং তথ্য সরবরাহ করার থাকে। তাহলে সেটি আমরা আপনাকে দিয়ে সাহায্য করবো।
মনে রাখবেন আর্ন বাংলা আপনাদের অনলাইন থেকে বাংলা ভাষায় আয় করার পরিপূর্ণ বিষয়ে সাহায্য করতে চাই। এটি শুধুমাত্র একটি ব্লগ ওয়েবসাইট নয়। আর্ন বাংলাকে আমরা একটি পরিপূর্ণ অনলাইনে শিক্ষানীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করতে চাই। যেখানে থেকে আপনারা নতুন নতুন আইডিয়া ও ব্লগ প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
কিভাবে অনলাইনে প্রফেশনাল ক্যারিয়ার গঠন করা যায়? এই বিষয়ে পরিপূর্ণ তথ্যবহুল গাইড পাবেন। এবং আমাদের ওয়েবসাইটে যে সকল তথ্য গুলো তুলে ধরা হয় নাই। কিন্তু আপনার জানা প্রয়োজন। সেই সকল তথ্য গুলো আপনারা কমেন্ট করে জেনে নিতে পারেন। অথবা সরাসরি আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ করে আপনার প্রশ্নটিই আমাদের পাঠাতে পারেন।
চলুন তাহলে ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করা যায়, এমন কিছু আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন
অনলাইন থেকে যখন ইনকামের চেষ্টা করবেন, তখন অবশ্যই আপনার কয়েকটি করণীয় থাকতে পারে। সত্যি বলতে এখান থেকে ইনকাম করতে হলে, হয় আপনার একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থাকতে হবে। না হয় অন্যদের কোন একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনাকে ইনকাম করতে হবে।
এখন কথা হচ্ছে আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট করলে কিভাবে ইনকাম করতে পারবেন? এবং যদি নিজে ওয়েবসাইট না করে অন্যদের ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে ইনকাম করতে চান, তাহলে কিভাবে ইনকাম করতে পারেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি লিখব। এবং এখান থেকে আপনারা পরিপূর্ণ অনলাইন ইনকাম বিষয় জানতে পারবেন।
নিজের একটি ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করব?
যদি আপনার নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকে, তাহলে এটি আপনার পরিপূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে কাজ করে অনলাইন থেকে উপার্জন করার জন্য। আপনাকে অন্যদের কোন রুলস বা বৈশিষ্ট্য মেনে চলতে হবে না। আপনার ওয়েব সাইটে আপনি যে ধরনের বৈশিষ্ট্য ঠিক করবেন। সে ধরনের বৈশিষ্ট্য অন্যদেরকে মেনে চলতে হবে।
এখন এর মধ্যেও অনেক কিছু নিয়ম রয়েছে। মনে রাখবেন, কোন কাজেই একেবারে সহজ নয়। এমন না যে, কোন বৈশিষ্ট্য আপনি অনুসরণ করবেন না। আপনি আপনার ইচ্ছা মত কাজ করে যাবেন, তাহলে অনলাইন থেকে আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন।
যেহেতু ওয়েবসাইট আপনার নিজের, সেহেতু হয়তো আপনি অনেক কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাবেন। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে, যারা ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তাদের জন্য আপনাকে কিছু বৈশিষ্ট্য বা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
যেন তারা তারা ওয়েবসাইট থেকে সঠিক তথ্য গ্রহণ করতে পারে। এবং ওয়েবসাইটে যারা ভিজিটর রয়েছে তারাও যেন লাভবান হতে পারে। অর্থাৎ তারা যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে কোনভাবে উপকারিতা গ্রহণ করতে না পারে, তাহলে কিন্তু আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।
ওয়েবসাইট দিয়ে ইনকাম করার জন্য কয়েকটি উপায় আপনাদের জন্য শেয়ার করবো। যেগুলো আপনারা অনুসরণ করলে নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পূর্ণ স্বাধীনতা সুযোগ নিয়ে অনলাইন থেকে আপনি সত্যি কারের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এবং ওয়েবসাইটটি কোনভাবেই ১ বা ২ দিন পরে শেষ হয়ে যাবে না। আপনি আজীবন এখান থেকে একটি লাভবান হতে পারবেন।
টিউটরিয়াল ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন:
আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে একটু লক্ষ্য করে থাকেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম এবং ব্যবসা আইডিয়া, টাকা সঞ্চয় করার উপায়, এবং বিভিন্ন ব্যাংক সম্পর্কিত তথ্য আমরা শেয়ার করে থাকি। তার মানে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, আমাদের ওয়েবসাইটটি হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর টিউটোরিয়াল ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট। সাধারণ কথায়, যারা এই বিষয়ের উপরে অনলাইন ইনকাম আইডিয়া শেয়ার করে থাকেন। তারা এই বিষয়টাকে ব্লগিং বলে থাকেন।
ঠিক একই রকম আমাদের এই লেখাগুলো এই ওয়েবসাইটে যে পড়তেছেন। এটা হচ্ছে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট। আমরা এখানে যে কোন পোস্ট গুলো আপনাদের জন্য লিখে নিয়মিত প্রকাশ করতেছি এই কাজ কে ব্লগিং বলা হয়। এই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিন্তু আমরা এখান থেকে অর্থ উপার্জন করার একটি সুবিধা পাচ্ছি।
আপনাদেরকেও ঠিক এরকম একটি ওয়েবসাইট করতে হবে। যেখানে আপনাদের লেখা পোস্টগুলো প্রকাশ করা শুরু করবেন, তখন সেখান থেকে আপনারা নিয়মিত ওয়েবসাইটে অনেকগুলো পাঠক পাবেন। সে পাঠকদেরকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অথবা কোন একটি প্রোডাক্ট বাস সার্ভিস অফার করে সেখান থেকে আপনারা উপার্জন করতে পারবেন। এই ধরনের ওয়েবসাইট গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়ের উপরে কাজ করবেন? সেই বিষয়ের উপরে আপনার ওয়েবসাইট টা কে তৈরি করতে হবে। যেমন আমরা কি কি বিষয়ের উপরে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে যাচ্ছি? সে বিষয়গুলো আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারতেছেন। এবং সেগুলো আপনারা নিয়মিত পড়তেছেন।
ঠিক একই রকম আপনি চাইলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে লেখা প্রকাশ করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে অনলাইন থেকে ইনকাম এর বিষয় নিয়ে লেখা প্রকাশ করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ধরনের টিভি সিরিয়াল নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। এমনকি ফেসবুকে যারা পোস্ট করে থাকেন, সেই পোস্ট গুলো নিয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারেন। এই বিষয়টির কোনো শেষ নাই। আপনি যে কোন একটা বিষয় নিয়ে একটি নিজের ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন
বাংলাদেশের মধ্যে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে কিছু কিছু খারাপ চিন্তা ভাবনা কারী ব্যবসায়ীরা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম টাকে নষ্ট করার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু আপনি যদি সৎ ভাবে ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনি স্বল্প টাকা দিয়ে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করে সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যক্তিগত কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। অথবা আপনার যদি কোন পণ্য না থাকে, তাহলে আপনি আপনার আশেপাশের যে কোন ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে চুক্তি করে তাদের কাছ থেকে পণ্য বা সার্ভিস সংগ্রহ করে, সেগুলো কে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
যদি সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস গুলোকে ডেকোরেট করতে পারেন। এবং তাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারেন, তাহলে তারা অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত পণ্য বা সার্ভিস ক্রয় করতে থাকবে।
যারা অনলাইনে একেবারে নতুন হিসেবে অর্থ উপার্জনের জন্য চেষ্টা করবেন। তাদের জন্য কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসাটি তেমন একটি উপযুক্ত নয়। কারণ আপনি ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে রিকভার ওয়েবসাইট পরিচালনা সম্পর্কে জানতে হবে। এবং ক্রেতাদের কে পণ্য বিক্রয় করার জন্য অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে।
তবে এমন নয় যে, এটি করার জন্য আপনাকে রকেট সাইন্স পড়াশোনা করতে হবে। সাধারণত প্রথম দিকে একটু বাধার সম্মুখীন হবেন। কিন্তু পরবর্তীতে আপনি সে বিষয় গুলো আস্তে আস্তে যখন বুঝে উঠতে শুরু করবেন। তখন এই প্ল্যাটফর্মেও আপনি যথেষ্ট ভাল করতে পারবেন।
নতুন হিসেবে যদি আপনি অনলাইন থেকে টাকা আয় করার জন্য চিন্তা করে থাকেন, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং প্লাটফর্ম কে বেছে নিতে পারেন। কারণ এদিক থেকে আপনি যদি প্রথমদিকে ভালো করতে না পারেন, তাহলেও কোন সমস্যা নাই। এর জন্য আপনাকে জটিল কোনো চিন্তা-ভাবনা ও করতে হবে না। ব্লগিংয়ের বিষয়টাকে ধীরে ধীরে বুঝে আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে যেহেতু মেনটেনেন্স এবং পণ্য ডেলিভারি নিয়ে একটু ঝামেলা থাকে। সেজন্য প্রথমদিকে এরকম জটিল অনলাইন বিজনেস শুরু না করাটাই ভালো।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অনলাইন ইনকাম শুরু করুন
বিষয়টি বলা খুব সহজ কিন্তু একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থ উপার্জন করার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া অনেক জটিল একটি বিষয় হতে পারে। যদি আপনার এই বিষয়ে পূর্ব থেকে কোন অভিজ্ঞতা না থাকে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কিছুই নাই। পরবর্তীতে আমরা ইউটিউবে মার্কেটিং এবং ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার বিভিন্ন কৌশল আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই বিষয়ে আপনাদের আগ্রহ আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। কারণ একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেই সেই চ্যানেলটির রেখে দিলে কিন্তু হবে না। ইউটিউব চ্যানেলটি তে আপনাকে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। এবং আপনার আপলোড করা ভিডিওগুলোর মার্কেটিং আপনাকে জানতে হবে। এবং কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলে আপনার ভিডিও গুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিউজ আসবে? তার অ্যালগরিদম টা আপনাকে বুঝতে হবে।
বর্তমানে ইউটিউব মার্কেটিং এর উপরে অনেকগুলো প্রিমিয়াম কোর্স পাওয়া যায়। আপনি চাইলে যেকোনো একটি পোষ্ট করেই ইউটিউবে আপনার যাত্রা শুরু করতে পারেন। তবে ইউটিউবে সফল হবার জন্য প্রধান যে বিষয়। সেটি হচ্ছে আপনার কনটেন্ট। আপনি যদি সঠিক মানের কনটেন্ট আপনার চ্যানেলের মধ্যে আপলোড করতে পারেন, তাহলে আপনার অডিয়েন্সরা সব সময় আপনার সাথে যুক্ত থাকবে। এবং আপনার ভিডিওগুলো তারা নিয়মিত দেখবে। যার মাধ্যমে আপনি ভাল একটি কমিউনিটি তৈরি করার পাশাপাশি অনলাইন বিজনেস করে এখান থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল করার পরের দিন থেকে আপনি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং জানেন। অনেকেই বলে থাকেন ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার না হওয়া পর্যন্ত ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় না। এই ধারণাটা কিন্তু একেবারেই ভুল। আপনি শুধুমাত্র ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করার চিন্তাভাবনা না করে। একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করে ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ঠিক একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমেও একাধিক উপায়ে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রমোট করা বা স্পনসর্শিপ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। স্পনসর্শিপ এবং বিভিন্ন পণ্য রিভিউ করার জন্য আপনার চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কোন প্রয়োজন নাই। তবে আপনার ভিডিও গুলোতে নিয়মিত ভিউ আসতেছে এবং অডিয়েন্স আপনার ভিডিও গুলো দেখতেছে। সে বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট রিভিউ করতে না চান, বা স্পনসর্শিপ গ্রহণ করতে আপনি দ্বিধাবোধ করেন। তাহলে আপনি খুব সহজ মাধ্যম অ্যাফিলিয়েট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সারাবিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি অনলাইনে ইনকামের সুযোগ। এই সুযোগটি ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
তবে যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো অ্যাকশন জেনারেট করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার কনটেন্ট গুলো কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। যদি আপনি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন, তাহলে আপনার কনটেন্ট এর ভাষা ইংরেজি হওয়া খুবই প্রয়োজন। বাংলা ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের মধ্যে অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিচ্ছে এরকম কোম্পানির সাথে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
এখন আমরা আলোচনা করব ওয়েবসাইট ছাড়া ইনকাম করার উপায় নিয়ে
উপরে আমরা youtube-এর যে বিষয়টি শেয়ার করেছি। এটা কিন্তু অতিরিক্ত একটি অনলাইন ইনকামের বিষয় শেয়ার করে ফেললাম। কেননা ইউটিউব হচ্ছে গুগলের একটি প্রোডাক্ট। আমরা আপনাদেরকে বলেছিলাম নিজের ওয়েবসাইট দিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়? সে বিষয়টি শেয়ার করব। কিন্তু ইউটিউব যেহেতু তৃতীয় পক্ষের একটি ওয়েবসাইট।
সেহেতু ইউটিউব কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট নয়। এটি অন্যদের একটি ওয়েবসাইট। তাই আপনাদেরকে এটা বলতে চাচ্ছি যে, নিজের ওয়েবসাইট ছাড়া অন্যদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? সে বিষয়ে উপরে কিন্তু আপনারা ইতিমধ্যে একটি আইডিয়া পেয়ে গেছেন। আচ্ছা যাই হোক! আমরা এখানে আপনাদের সাথে আরও কিছু আইডিয়া শেয়ার করবো। যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা নিজেদের ওয়েবসাইট না করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ছাড়া অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে অনলাইন থেকে আপনি আয় করতে পারেন। বর্তমান বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা যে পরিমাণ টাকা আয় করেছে। সেটা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসতেছে। সুতরাং আপনিও যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও বাংলাদেশ বসে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে পারেন।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়?
সে বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা আমাদের ব্লগে কনটেন্ট পাবলিশ করা শুরু করেছি। আপনারা যদি আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটটি অনুসরণ করেন, তাহলে বিভিন্ন অনলাইন ইনকামের কোর্স এবং ফ্রিল্যান্সিং করার সকল গাইডলাইন পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের মধ্যে এমন অনেকগুলো আইটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে গড়ে উঠেছে। যারা প্রফেশনাল কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ শিখে বায়ারের কাছ থেকে প্রজেক্ট গ্রহণ করতে হয়? সে বিষয়টি শিক্ষা দিয়ে থাকেন। যদি আপনারা কিভাবে একজন বায়ারের সাথে যোগাযোগ করবেন? এবং বিদেশী বায়ারের কাছ থেকে প্রজেক্ট নিয়ে এসে প্রজেক্ট সফল ভাবে আবার জমা দিবেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে তারা আপনাদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করবে। যদি আপনারা এই বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে যেকোনো একটি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়ে যদি আপনি আগ্রহী হয়ে না থাকেন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ফোরাম সাইট গুলো ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। আমরা একটু আগে আপনাদের কে বলেছিলাম নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে আয় করার পদ্ধতি সম্পর্কে। কিন্তু এখন আমরা আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
অন্যদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম এ বিষয়টি। ইতিমধ্যে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি এই বিষয়ে প্রাক্টিক্যাল ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সে ভিডিওটি আমি এখানে যুক্ত করে দিচ্ছি। যেন আপনারা জানতে পারেন, কিভাবে অন্যদের ফোরাম ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। এবং আমার ভিডিওতে আমি লাইভ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করে আপনাদেরকে দেখিয়েছি।
অনলাইন থেকে নিশ্চিত ইনকাম করার উপায়
সম্মানিত পাঠক, আমরা এই লেখাতে আপনাদের সাথে যে সকল আইডিয়াগুলো অনলাইন থেকে ইনকাম এর জন্য শেয়ার করেছি। এই আইডিয়া গুলো অবশ্যই খুব সহজ। যদি এই বিষয়গুলো থেকে কিভাবে এগোনো যায়? সে বিষয়ে আপনাদের পরিপূর্ণ ধারণা না থাকে। তাহলে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা আপনি এই বিষয়ে কোন একটা কোর্স করে তারপরেই আপনার অনলাইন ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারেন।
তবে আমার মনে হয় না এই কাজগুলো করার জন্য আপনার টাকা খরচ করে কোর্স করার প্রয়োজন হবে। আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি যদি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে কোন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির মাধ্যমে অথবা কোন একটি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করে একটি ওয়েবসাইট করিয়ে নিন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে আপনার ব্যবসা করে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং কিভাবে এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করতে হবে? কিভাবে ওয়েব সাইটের কনটেন্ট আপলোড করতে হবে? এই বিষয়ে আপনি ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন। এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি যদি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলতে পারেন।
কারণ ইউটিউবে তেমন কোন এডভান্স লেভেলের সেটিংস নাই। যেগুলো আপনাকে করতে হবে। বেসিক কিছু কাজ করে আপনি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলে সফল হবার জন্য আপনাকে অবশ্যই কন্টেন্ট মেকিং সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি কন্টেন্ট কিভাবে তৈরি করা যায়? সে বিষয়ে জানতে চান, তাহলে সেই আমরা পরবর্তীতে একটি অ্যাডভান্স লেভেলের গাইড শেয়ার করব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ইউটিউব এর কন্টেন্ট তৈরি করা শিখে ফেলবেন।
হ্যালো, আমি তাওহিদ। আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, এবং বিজনেস কনসালটেন্ট। অনলাইনে ২০১৮ সাল থেকে আমি দক্ষতা ও আগ্রহের সাথে কন্টেন্ট তৈরি ও অনলাইন ব্যবসা করে আসছি। আমার লেখা সব কন্টেন্ট সাধারণত অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, ব্যবসা, ও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রকাশ হয়।