মোবাইলে টাকা আয়ের ৩টা সহজ উপায় | মোবাইল দিয়ে ইনকাম

আয় করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন এমন সময় বর্তমানে আর নাই। এখন চাইলে আপনি মোবাইল ব্যবহার করে অনেকগুলো পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। আমাদের আজকের এই লেখাতে আমরা আপনাদের সাথে মোবাইলে টাকা আয়ের উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যারা মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই আমাদের এই লিখাটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আমরা জানি অনেকেই মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায় জানার জন্য গুগলে নিয়মিত সার্চ করেন। কিন্তু হাজার হাজার আইডিয়ার মধ্যে কোন আইডিয়া গুলো আপনার জন্য সত্তিকারের অর্থে কাজ করবে? সে বিষয়টি আপনারা বুঝে উঠতে পারেন না। 

আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে এমনভাবে তথ্যগুলোকে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করি। যেন খুব সহজে আমাদের লেখাগুলো বুঝতে পারেন। এবং এখান থেকে শিক্ষা অর্জন করে আপনাদের সেই শিক্ষাগুলো কাজে লাগিয়ে যেন অনলাইন থেকে সত্যিই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যদি এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার পরে আপনারা সঠিকভাবে এগুলোকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আমরা আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত কনটেন্টগুলো তৈরিতে সার্থক মনে করব। 

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ

মোবাইলে টাকা আয়ের সহজ উপায়

যারা মোবাইলে টাকা আয় করার উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদেরকে আমি ধৈর্য ধরে এই লেখাগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ করবো। কেন না, আপনি ইতিমধ্যে যতগুলো আইডিয়া সম্পর্কে জেনেছেন হয়তো তার মধ্যে সঠিক কোন আইডি আপনি খুঁজে পান নাই। যেটার মাধ্যমে সত্যিই আপনার স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পেরেছেন।

মোবাইলে টাকা আয়
মোবাইলে টাকা আয়

তবে আমি আপনাকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আপনি সত্যিকার অর্থে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের সাইটে প্রকাশিত কনটেন্ট গুলো নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারি। কেননা আমরা অসত্য ও অপ্রিয় কনটেন্ট আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি না। সুতরাং যারা মোবাইলে টাকা আয় করার উপায় সত্যিকার অর্থে জানতে চান, তাদের জন্য আমাদের এই লিখাটি অবশ্যই হেল্পফুল হবে। 

মোবাইলে টাকা ইনকাম শুরু করার জন্য যেসকল জিনিসপত্র প্রয়োজন হবে:

চায়ের দোকানে চা বানানোর জন্য অনেক ধরনের জিনিস প্রয়োজন হবে থাকে। যেমন চা বানানোর পূর্বে চা সিদ্ধ করার জন্য একটি কেটলির  প্রয়োজন হয়। এবং সিদ্ধ করার জন্য লাকড়ির প্রয়োজন হয় এবং পরিপূর্ণ চা তৈরির জন্য চা পাতা ও সুগারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। ঠিক আপনি মোবাইল দিয়ে যদি ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনারও এমন কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

যেগুলোর মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি হয়তো এতদিন মনে করেছিলেন শুধুমাত্র মোবাইল ফোনটি থাকলেই আপনি মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। মূলত শুধুমাত্র মোবাইল ফোন থাকলে হবেনা। আপনাকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এর ব্যবস্থা করতে হবে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি মোবাইলে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

জেনে নেওয়া যাক কি কি জিনিস প্রয়োজন হবে? মোবাইলে টাকা ইনকাম করার জন্য:

  1. প্রথমেই একটি ভালো মানের স্মার্টফোন আপনার প্রয়োজন হবে।
  2. কোন উপায়টি ব্যবহার করে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ইনকাম করবেন? এরকম একটি উপায় আপনাকে নির্বাচন করতে হবে।
  3. ইনকাম করার জন্য আপনাকে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে।
  4. আপনার উপার্জনকৃত টাকাগুলো হাতে নেওয়ার জন্য পেপাল, পেওনিয়ার, অথবা ব্যাংক এর প্রয়োজন হবে।
  5. কাজের সুবিধার জন্য অবশ্যই দ্রুত গতির ইন্টারনেট থাকতে হবে। 

কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়?

যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে একাধিক উপায়ে ব্যবহার করে আপনি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তাই আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে আয় করা যায়? এই বিষয়ে জানার জন্য আমরা যেই আইডিয়া গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এগুলো সবগুলো সময় নিয়ে পড়ার জন্য এবং এখান থেকে আপনি কোন মাধ্যমটি ব্যবহার করে সত্যিকার অর্থে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন? সেটি নির্বাচন করার জন্য। 

কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়
মোবাইলে টাকা আয়ের উপায়

একসাথে একাধিক পদ্ধতি অনুসরণ করবেন না। অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে বুঝেশুনে যে কোন একটি বিষয়ে পড়াশোনা করেই কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। একসাথে যদি একাধিক কাজ করতে শুরু করেন, তাহলে আপনি নির্দিষ্ট একটি কাজের উপরে লক্ষ করতে পারবেন না। সাধারণত একাধিক কাজ করতে গেলে আপনার কাজের লক্ষ হারিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:   বেসিক ইলেকট্রিক্যাল বই pdf ডাউনলোড করে নিন

সেজন্য আপনি সঠিকভাবে কাজে মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই আমরা সব সময় আপনাদের কে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যদি আপনি অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই শুধুমাত্র একটা বিষয়কে নির্বাচন করুন। 

মোবাইলে টাকা ইনকাম করার উপায়

চলুন তাহলে আমরা মোবাইলে টাকা ইনকাম করার এমন কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যেগুলো আপনারা ব্যবহার করে নিশ্চিত মোবাইল থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন। আমরা আপনাদের সময় অপচয় করার জন্য এমন কোন আইডিয়া নিয়ে এখানে আলোচনা করব না। যেগুলো দিয়ে কাজ করে আয় করার জন্য আপনাদের সমস্যা হবে।

কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায় | ইনকাম করার ৫টি উপায়

সাধারণত আমরা আমাদের ব্লগে তথ্যবহুল আলোচনা তুলে ধরার জন্য একটু অতিরিক্ত কথাবার্তা বলে থাকি। যারা আমাদের ব্লগ গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তারা অবশ্যই এখান থেকে লাভবান হচ্ছে এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করার সফলতা অর্জন করতেছে।

ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন 

একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি ও কিভাবে চ্যানেল মেনটেনেন্স করতে হয়? সেই বিষয়ে এটুজেড সকল প্রকার ধাপসমূহ। এবং কিভাবে ইউটিউবে সফলতা অর্জন করা যায়? সে বিষয় নিয়ে অনেকগুলো সিক্রেট সহ একটি আর্টিকেল লেখার পরিকল্পনা রয়েছে। এবং হয়তো এটি আমরা খুব দ্রুতই আমাদের ব্লগ সাইটে প্রকাশ করব। যেখানে আপনারা এমন অনেকগুলো প্রিমিয়াম সন্ধান পাবেন। যা ইতিমধ্যে আপনি অন্য কোন ওয়েবসাইটে খুঁজে পাননি।

এখানে আমরা মূলত আপনাদের ধারণা দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়? সে বিষয়ে মাত্র একটি উপায় শেয়ার করতেছি।  মনে রাখবেন, কোন একটা ব্লগ ওয়েবসাইটে ইনকাম করার উপায় জানার সাথে সাথেই সে আইডিয়া নিয়ে মূলত সফলতা অর্জন করা যায় না। যদি সে আইডিয়াটা কে আপনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে কিভাবে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে? এবং বাস্তবায়ন করার জন্য কি কি উপাদান এর প্রয়োজন হবে? সে বিষয়গুলো সম্পূর্ণ আপনাকে জানতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন 
ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে মোবাইলে টাকা আয়ের উপায় 

মনে করুন, মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়ে আপনি এখান থেকে অনেকগুলো আইডি সম্পর্কে জানতে পারলেন। এই আইডিয়া গুলো ব্যবহার করে মূলত আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে আপনি অনলাইন থেকে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।  কিন্তু এখান থেকে আপনি কোন আইডিয়াটা নিয়ে কাজ করবেন? সে আইডিয়াটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাকে আরো ডিটেইলসে পড়াশোনা করতে হবে।

যেমন ধরুন,

আপনি চাচ্ছেন ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করবেন। তাহলে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে? এবং কি কি উপাদান গুলো দিয়ে আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন? সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে খুঁটিনাটি জানতে হবে। তাহলে আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

তাই আপনি এখান থেকে প্রথমে একটি আইডিয়াকে প্রথমে নির্বাচন করবেন। আইডিয়াটি নির্বাচন করার পর সেই আইডিয়াটা কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে আরো অনেকগুলো আপনার নির্বাচিত আইডিয়ার উপরে ব্লগ প্রকাশিত হয়েছে। সে ব্লগ গুলো পড়তে পারেন, অথবা আপনি ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখতে পারেন।

যদি কোন কিছু না বুঝে থাকেন, তাহলে সে বিষয়ের উপরে আমাদেরকে কমেন্ট করে প্রশ্ন করতে পারেন। অথবা সরাসরি আমাদের ফেসবুক পেজে ম্যাসেজ করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি একজন প্রফেশনাল এক্সপার্ট হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবেন। এবং সবকিছু শিখে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব কিভাবে মোবাইল দিয়ে শুরু করা যায়? 

বিশ্বাস করুন, আমার যে ইউটিউব চ্যানেলটি রয়েছে। সেই ইউটিউব চ্যানেলটি আমি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শুরু করেছিলাম। এবং আমার মোবাইল ফোন দিয়ে আমি আমার চ্যানেলটাকে মনিটাইজ করেছি। যখন ইউটিউব মনিটাইজ করার জন্য ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এর প্রয়োজন হচ্ছিল। তখনই কিন্তু আমি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করি। এবং আমরা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে আমি খুব সহজেই এই ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার সফলভাবে সংগ্রহ করি। এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলো আমি পূরণ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার চ্যানেলটা ইউটিউব ভিডিও করে মনিটাইজেশন অন করে দেন। 

ইউটিউবিং করার জন্য অনেকগুলো টপিক রয়েছে। যেকোনো টপিকের উপর আপনি ইউটিউব শুরু করতে পারেন। তবে আপনাকে একটা টপিক নির্বাচন করার সময় এমন একটা টপিক বাছাই করতে হবে। যেটি মোবাইল দিয়ে শুরু করা যায়। সত্যি বলতে ইউটিউব এর অধিকাংশ টপিক মোবাইল দিয়ে খুব ভালোভাবে করা সম্ভব। যেমন আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে ট্রাভেল ব্লগিং করতে পারেন।

কোথায় টাকা ইনভেস্ট করা যায় | বিনিয়োগ করার সঠিক জায়গা

ফুড রিভিউ করতে পারেন। মোবাইল টেক ভিডিও আপলোড করতে পারেন। অথবা আপনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে লেকচার তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। এই সকল কাজগুলো আপনার মোবাইল ফোনে খুব সহজেই আপনি করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে মোবাইলে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য অনেকগুলো ভালো ভালো টুলস রয়েছে। যেগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করে আপনার ভিডিও প্রফেশনাল লুক এবং কম্পিউটারের মত হাই রেজুলেশনের ভিডিও আপনি তৈরি করতে পারবেন। 

আরও পড়ুন:   ৬টি ব্যবসা করার কৌশল - ২০২৩

বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন

উপরের আলোচনার মধ্যে আমরা ব্লগিংয়ের কথা একটু করে বলে ফেলেছিলাম। তবে এখন আমরা ব্লগিং নিয়ে আলোচনা করব। কারণ এটি এমন একটি প্রফেশন যেখানে আপনাকে শুরু করার জন্য অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হবে না। অর্থাৎ আপনাকে রকেট সাইন্স হতে হবে না। আপনি শুধু মাত্র শুরু করবেন এবং বুঝে বুঝে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

কেননা এই জায়গায় যদি আপনি আটকে যান, তাহলে অনেকগুলো ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে। সেখান থেকে আপনি শিক্ষা অর্জন করতে পারেন। এবং এখানে যদি কোন রকম ভুল করে ফেলেন, তাহলে আপনাকে কেউ সেটার জন্য ধমক দিবে না। অথবা সে ভুলের জন্য আপনার কাছ থেকে কেউ জরিমানা চাইবে না। 

যারা অনলাইন থেকে ইনকাম এর জন্য প্রথমদিকে চিন্তাভাবনা করে থাকেন। আমি সবাইকেই ব্লগিং শুরু করার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ অনলাইনে কাজ করার জন্য এটি খুবই ক্রিয়েটিভ এবং প্রফেশনাল একটি কাজ। যেটাতে কোন না কোন সময় আপনার সফলতা আসবে। অর্থাৎ আপনি ব্যর্থ হবেন না। এবং আপনার অনলাইনে আপলোড করা যে লিখা বা কনটেন্ট গুলো থাকবে।

বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন
বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে মোবাইলে টাকা আয়ের উপায়

সেগুলো কোন সময় নষ্ট হয়ে যাবে না। এবং সেগুলো কে আপনি বিভিন্ন সময় মডিফাই করে সময়ের সাথে উপযোগী করে তুলতে পারবেন। তারচেয়েও সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি একাধিক পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি কোন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ মনে করেন? সেই বিষয়ের উপরে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

যেমন আপনি ট্রাভেল ব্লগ নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।

অথবা আপনি বিভিন্ন টেকনোলজি বেসিক টিউটোরিয়াল আপনার ব্লগ সাইটে পাবলিশ করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলেই আপনার পছন্দের কোনো রান্নাবান্না নিয়ে টিপস ও ট্রিকস শেয়ার করতে পারেন। তো ব্লগিং এর জন্য মূলত কোন টপিক নির্দিষ্ট করা নাই। আপনি যেটা জানেন সেটা নিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন

যে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের ব্লগ ওয়েবসাইটে কথা বলে থাকি। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা পরবর্তীতে ডিটেলস সহ ব্লগ পাবলিশ করে থাকি। যেন আমাদের পাঠকরা এখান থেকে পরিপূর্ণ গাইড লাইন পেয়ে থাকেন। এবং এখান থেকে কিভাবে সফল হওয়া যায়? সেই বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন। তাই আপনারা যখন ব্লগিং বেছে নিবেন। তখন আমাদের ওয়েবসাইটে ব্লগিং রিলেটেড আরো কি কি টিউটোরিয়াল আপলোড হচ্ছে? এবং ইতিমধ্যে হয়েছে সেগুলো অনুসরণ করবেন। আশা করতেছি আপনাদেরকে কোন প্রিমিয়াম টিচারের সন্ধান করতে হবেনা। এই ব্লগ ওয়েবসাইটটি হচ্ছে আপনাদের টিচার। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে আয় করুন

সত্যি করে বলুন তো? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে কী বোঝানো হয়?  আপনাদের মধ্যে ৯০% এরও বেশি উত্তর দিবেন যে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? বা কিভাবে কাজ করে? সে বিষয়টি জানিনা। তবে আপনি না জানলেও আমি বলতে পারি। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধু-বান্ধবদেরকে কমেন্ট পাওয়ার জন্য উৎসাহ করে লাইক কমেন্ট পান, তাহলে আপনি অবশ্যই অবশ্যই একজন সোশল মেডিয়া মারকেটার।

পেওনিয়ার বিকাশ এর সাথে লিংক করার নিয়ম

সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন আপনি কোন পোস্ট করেন, অথবা আপনার নিজের কোন ছবি শেয়ার করেন। সেই ছবিতে যখন আপনার বন্ধু-বান্ধব অনেক লাইক করে কমেন্ট দেয়। এবং আপনার সাথে এনগেজ  হয়। তখন কিন্তু আপনি একটা কমিউনিটি তৈরি করতে শুরু করেন। অর্থাৎ আপনার বন্ধু-বান্ধব যে বিষয়গুলো কে পছন্দ করে। সে বিষয়গুলো আপনি তাদের জন্য নিয়মিত আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করেন। তারা নিউজফিডে সেগুলো পেয়ে আপনাকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করেন। ঠিক এই কৌশলটি অনুসরণ করে আপনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হিসেবে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে আয় করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে মোবাইল দিয়ে আয় করুন

মনে হতে পারে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানেন না। কিন্তু আমি বলছি অবশ্যই আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানেন। তবে যখন আপনি একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে কাজ শুরু করবেন। তখন আপনি ইউটিউবে এই বিষয়ে কয়েকটি ভিডিও দেখতে পারেন। এবং আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর যে টপিক গুলো রয়েছে। সেগুলো আপনারা পড়তে পারেন।

আরও পড়ুন:   জীবনে সাফল্য অর্জনের ১১টি উপায়: মানতে পারলে আপনি সাকসেসফুল

তাহলে আপনি কিভাবে একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটের হিসেবে মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়? সে বিষয়টি খুব সহজেই আয়ত্ত্ব করতে পারবেন। মোবাইলে ইনকাম করার জন্য এরকম অনেকগুলো মাধ্যম কিন্তু রয়েছে। যেগুলো আমরা আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত শেয়ার করে যাচ্ছি। যদি আপনারা এগুলো অনুসরণ করেন, তাহলে আরো বিস্তারিত বুঝতে পারবেন। 

সার্ভে করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন

সার্ভে কাজের বিষয়ে কথা বলার আগে আমি একটি বিষয় আপনাদের কে বলে যেতে চাই। যদি আপনারা অনলাইনে সার্ভে কিভাবে করতে হয়? এবং সার্ভে করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়? সে বিষয়ে পূর্বে থেকে আপনাদের কোন নলেজ না থাকে। তাহলে প্রাথমিকভাবে আপনারা এই বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন। প্রথমদিকে সার্ভে করে ইনকাম করাটা আসলে একটু জটিল হতে পারে।

কেননা সার্ভে ইনকামে অনেকগুলো এমন তথ্য ব্যবহার করতে হয়। যেগুলো বাংলাদেশ থেকে সাপোর্ট হয় না। মূলত সার্ভের কাজটি খুবই সহজ। কিন্তু বাংলাদেশ সার্ভে কাজের সুবিধা না থাকার কারণে আপনাদের জন্য একটি জটিল হতে পারে। সেজন্য যদি আপনি অনলাইনে অ্যাডভান্স লেভেলের বিষয় সম্পর্কে বুঝতে না পারেন, তাহলে প্রাথমিকভাবে মোবাইলে সার্ভে করে ইনকাম না করাটাই ভালো।

সার্ভে করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন
সার্ভে করে মোবাইলে টাকা আয়ের উপায়

যারা অনলাইনে অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ জানেন। ভিপিএন বিপিএস সম্পর্কে জানেন। এবং প্রিমিয়াম আইপি ব্যবহার করে কিভাবে লোকেশন পরিবর্তন করা যায়? এই বিষয়ে সম্পর্কে জানেন। পাশাপাশি যারা আমেরিকা এবং কানাডার দেশগুলোর লোকেশন ও মোবাইল নাম্বার ওে ই মে ই ল আইডি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তারা সার্ভে করে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার জন্য সার্ভে উপযুক্ত একটি কাজ। তবে বাংলাদেশের মধ্যে থেকে সার্ভে কাজ করতে গেলে আপনি খুবই কম টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যদি আপনি সার্ভের যে সিক্রেট গুলো রয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে না পারেন। 

ই মে ই ল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন

এটা হয়তো আপনার জানা আছে। কাউকে ই মে ই ল পাঠানোর জন্য কোন ল্যাপটপ বা হাই কনফিগারেশনের ডিভাইস এর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা মোবাইল ব্যাবহার করে আপনি যে কাউকে ইমেইল পাঠাতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার জন্য ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি।

শুধুমাত্র ১০০ ইমেইল দিয়ে যদি আপনি মার্কেটিং টা শুরু করেন, তাহলে ১০০ ইমেইল থেকে প্রতি দশটা করে আউটপুট আসার সম্ভাবনা থাকে। তবে ইমেইল কালেকশনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিস টারগেট ইমেইল গুলো সংগ্রহ করতে হবে। যেন আপনি যে প্রোডাক্টটা কে প্রমোট করবেন। সে প্রোডাক্টটা আপনার নির্বাচিত ইমেইলের মালিকরা ক্রয় করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে। 

ইমেইল মার্কেটিং দিয়ে ইনকাম
ইমেইল মার্কেটিং দিয়ে ইনকাম

আমি আপনাদেরকে এক্ষেত্রে পরামর্শ দিব। যদি আপনার ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে মোবাইলে ইনকাম করতে চান, তাহলে বাংলাদেশি কোন বায়ার দেরকে টারগেট না করে ফরেন কান্ট্রির বায়াদেরকে টারগেট করার চেষ্টা করবেন। কেননা বাংলাদেশের মধ্যে ইমেইল মার্কেটিং এখনো তেমনটা কার্যকরী নয়। কিন্তু অন্যান্য কানাডা আমেরিকার মতো রাষ্ট্রগুলোতে ইমেইল মার্কেটিং খুবই কার্যকর একটি মার্কেটিং পদ্ধতি। যেখান থেকে ভালো আউটপুট পাওয়া যায়। এবং যে কোন প্রোডাক্ট দ্রুত সেল করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানী এই কৌশলটি অনুসরণ করে থাকেন। 

মোবাইলে টাকা আয়ের সহজ উপায়

সামান্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমরা এই লেখাতে আলোচনা করেছি। মোবাইল দিয়ে কিভাবে আপনি ইনকাম করতে পারে? সে বিষয় সম্পর্কে আমাদের এই লিখাটি হয়তো অনেক দীর্ঘ হতে পারে। যদি আপনারা আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। পরবর্তীতে আমরা এখানে আরো অনেকগুলো কৌশল যুক্ত করতে চাই। যেগুলো আপনারা ব্যবহার করে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইলে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য এরকম হাজার হাজার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। যেগুলোর সঠিক গাইডলাইন আপনারা পেলে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন নিশ্চিত। আপনি যদি বাংলা ভাষায় কার্যকরী কিছু ব্লগ ওয়েবসাইটের সন্ধান করে থাকেন, তাহলে ১০০ ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি শুধু মাত্র ১ থেকে ২ টা ওয়েব সাইট পাবেন। যারা সত্যিকার অর্থে তাদের পাঠকদের জন্য সঠিক তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে।

সুতরাং আপনারা যখন আমাদের এই ওয়েবসাইট অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে পার্থক্য করবেন, তখন অবশ্য বুঝতে পারবেন। আমরা আমাদের পাঠকদের জন্য কেবল সঠিক তথ্য সরবরাহ করি। এবং এগুলো থেকে আপনারা কিভাবে লাভবান হতে পারেন? সে বিষয়ে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন। আশা করছি মোবাইল দিয়ে ইনকাম এর বিষয়টি আপনারা সহজে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু আপনাদের জটিল মনে হয়, তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে সে বিষয়ে জেনে নিতে পারেন। 

মন্তব্য করুন