ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার ৫টি সুবিধা

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার অনেকগুলো সুযোগ রয়েছে। এগুলো বর্তমান সমাজের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করতে পারে। আমাদের স্কুল বা কলেজের পড়াশোনার পরেও অনেক সময় অনলাইন এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা চাইলেই একজন ছাত্র হিসেবে ছাত্রজীবনের পার্ট টাইম চাকরি করে এই সময়টুকু ব্যবহার করতে পারি।

ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার ৫টি সুবিধা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যদি এই ৫টি সুবিধা আপনার ভালো মনে হয়, তাহলে আপনি ছাত্র জীবনে পার্ট টাইম চাকরি করতে পারেন। যেগুলো আপনাকে পরবর্তীতে আরো বেশি চাকরি ক্যারিয়ারের উন্নত করতে সাহায্য করবে।

কোন কাজ করলেই সেটা আপনার জন্য কখনো বিফল হবে না। আপনি কোন না কোন ফলাফল এখান থেকে অর্জন করতে পারবেন। এজন্য আপনি অবশ্যই ছাত্র অবস্থায় পার্ট টাইম চাকরি করার জন্য চেষ্টা করবেন।

১. পড়াশোনার পাশাপাশি উপার্জন করা সম্ভব

বর্তমান সময়ে যারা এস্মার্ট লেভেলের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিতে পার্ট টাইম চাকরি করার মাধ্যমে উপার্জন করেন। যেগুলো তারা পড়াশোনার খরচ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।

বিশেষত যারা পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতে চান, তাদের কিন্তু টাকা পয়সার সমস্যা বেশি থাকে। এজন্য অনেকেই চাকরি করে থাকেন।

আরও পড়ুন:   কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম ও টিপস - ২০২৪

কিন্তু শুধুমাত্র টাকার জন্য চাকরি করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি টাকা পাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই পরবর্তী জীবনে যেন আপনি ভালো করতে পারেন, সে দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনাকে চাকরি করতে হবে।

যাদের আর্থিক কোন সমস্যা নাই তারা মনে করেন আপাতত চাকরি না করলেও চলবে। কিন্তু পরবর্তী চাকরির জীবনে গিয়ে তারা ক্যারিয়ারে একটা ভালো মানের চাকরির সংগ্রহ করতে পারেনা। যার ফলে তাদেরকে পূর্বের অদক্ষতার কারণে ফলাফল ভোগ করতে হয় ভিন্নরকম।

সুতরাং বলা যায় আপনি ছাত্র জীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেটা আপনার পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চাহিদার যোগান দিবে।

২. দক্ষতা অর্জন করার জন্য ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করুন

দক্ষতা অর্জন করার জন্য পার্ট টাইম চাকরি করুন
দক্ষতা অর্জন করার জন্য পার্ট টাইম চাকরি করুন

যতই পড়াশোনা করো না কেন আপনার সার্টিফিকেট আপনাকে চাকরির জন্য যথেষ্ট মূল্যায়ন করবে না। আপনার কাজের দক্ষতাই হচ্ছে চাকরি পাওয়ার অন্যতম সম্বল।

এমনকি আপনার চাকরিতে আবেদনের জন্য যে রেজুমিতে ব্যবহার করবেন, সে রিজুমিতে পূর্বের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে হবে।

কাজের যদি পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে ইন্টারভিউর জন্য যোগাযোগ করার জন্য কোন অফার আসবেনা। যদি আপনি ইন্টারভিউ দিতে না পারেন, তাহলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

এজন্য যারা পূর্ব থেকে ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার চেষ্টা করেন, তারা পরবর্তীতে তাদের রিজুমিতে কাজের অভিজ্ঞতা যুক্ত করতে পারে।

৩. বিভিন্ন সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা তৈরি হয়

ছাত্রজীবনে পার্টটাইম চাকরি করার ফলে আপনি বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠানেই আপনি পার্টটাইম চাকরি করবেন এমনটা কিন্তু নয়। আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

আরও পড়ুন:   আবাসিক হোটেল ভাড়ার নিয়ম, নীতি ও টিপস

যার ফলে পরবর্তী চাকরির জীবনে যখন আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে জায়গা করে নিবেন, তখন অন্য কারো সহায়তা ছাড়াই নিজে নিজে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন।

ছাত্র জীবনে পার্ট টাইম চাকরি কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা তারাই বুঝেন, যারা বর্তমান সময়ের চাকরির সন্ধান করতেছে। ভালো মানের একটি সার্টিফিকেট আপনাকে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে দিবে। কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার কাজের দক্ষতা বাধ্যতামূলক।

এজন্য আপনার যদি বিভিন্ন সেক্টরে জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি যেকোনো একটি ফ্যাক্টরির চাকরি জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৪. যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি

যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পার্ট টাইম চাকরি
যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পার্ট টাইম চাকরি

আপনার কলিগদের সাথে যদি আপনি সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। অফিসের কলিগদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে তাদের সাহায্য চাওয়া এবং তাদের সাথে নিয়মিত অফিস করা জটিল হয়ে যায়।

যদি আপনি ছাত্র জীবন থেকে কিভাবে আপনার অফিসের কলিগদের সাথে মেলামেশা করতে হবে? এবং কিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে? সে বিষয়ে আপনি শিখতে থাকবেন।

ফলে আপনি আপনার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে সেখান থেকে দক্ষতা অর্জন করবেন। যেটা পরবর্তীতে চাকরির জীবনে আপনার জন্য অনেক বেশি অ্যাডভান্টেজ দিবেন। সেই সাথে কিভাবে কলিগদের সাথে কথোপকথন করতে হয়? সে বিষয়েও আপনি আর যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন হবে।

৫. ক্যারিয়ারের ভালো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি

নেটওয়ার্ক বর্তমান সময়ে খুবই শক্তিশালী একটি মাধ্যম। যদি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা মোটেও জটিল কোন বিষয় হবে না।

আরও পড়ুন:   পোস্টার ডিজাইন টিপস: চোখ ধাঁধানো পোস্টার তৈরি করার ১০টি গাইড

পরিচিতি এমন একটা মাধ্যম চাকরি পাওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে অনেক শক্তিশালী একটি হাতিয়ার। যদি আপনি ছাত্র জীবনে পার্ট টাইম চাকরি করার মাধ্যমে আপনার আশেপাশের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও লোকজনের সাথে পরিচিত হতে থাকেন, তাহলেই পরবর্তীতে আপনি চাকরি পাওয়ার জন্য এরাই আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

নেটওয়ার্কের মধ্যে আপনি যদি ছড়িয়ে দেন যে আপনার একটা বর্তমান সময়ে চাকরির প্রয়োজন, তাহলে একাধিক মাধ্যমে আপনি চাকরির সন্ধান পাবেন। এমনকি আপনার পরিচিতির জন্য আপনাকে রেফার করবে ভালো মানের একটি চাকরি সংগ্রহ করার জন্য।

বর্তমান সময়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিটা কোম্পানি রেফারেন্স বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যদি কেউ আপনার জন্য হয়ে রেফারেন্স প্রদান করে, তাহলেই চাকরি পাওয়ার সহজ হয়ে যায়।

আর এই ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি রেফারেন্স ব্যবহার করার জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন, ছাত্রজীবন থেকেই তাহলে সেটি আপনার পরবর্তী চাকরির জীবনে যথেষ্ট কাজে আসবে।

ছাত্র জীবনের পার্ট টাইম চাকরি সম্পর্কিত সারমর্ম

সম্মানিত ছাত্র বন্ধুরা, যারা ছাত্র জীবনে পার্ট টাইম চাকরির জন্য আগ্রহী তারা সময় কে সঠিকভাবে ব্যবহার করেই বিভিন্ন কোম্পানিতে আবেদন করতে থাকুন। আমাদের এই লেখাতে শেয়ার করা ৫টি ছাত্র জীবনে চাকরি করার সুযোগ সুবিধা আপনাদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে।

আশা করছি আপনার ছাত্র জীবনের চাকরি খুবই আরামদায়ক হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা হিসেবে আপনাকে গড়ে তুলবে।

মন্তব্য করুন