ঘরে বসে আয় করার অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে। আজকের এই লেখাতে আমরা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো জনপ্রিয় উপায় শেয়ার করব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ঘরে বসে টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
যারা ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চায় তাদের প্রথমেই একটা বিষয় নিয়ে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। যদি আপনার কোন দক্ষতা না থাকে, তাহলে কিন্তু ঘরে বসে কাজ করে টাকা ইনকাম করা সহজ হবে না। এজন্য ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বের করতে হলে, আপনাকে আজকের উপায় গুলো থেকে যেকোনো একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। এবং এই বিষয়ে আপনার পুরোপুরি দক্ষতা আছে কিনা সে বিষয়টি আপনাকে যাচাই করতে হবে।
আমাদের এই লিখাতে যে সকল ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায় শেয়ার করা হবে। এসকল উপায় থেকে যেকোনো একটি উপায় যদি আপনি নির্বাচন করে সেটাতে কাজ করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আপনি ঘরে বসে প্রতি মাসেই ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। টাকার অংক শুনে কেউ মিথ্যা ভাবার প্রয়োজন নাই। আমি এখানে সর্বনিম্ন একটি অ্যামাউন্ট আপনার সাথে শেয়ার করেছি। আপনি যে আমার এই ওয়েবসাইটে আমার এই লিখাটি পড়তেছেন। এটার মাধ্যমেও প্রতি মাসেই ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম সহজেই করা যায়।
ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় | ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় | ঘরে বসে টাকা ইনকামের উপায়
লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পরে আপনাদের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জাগতে পারে। সকল প্রশ্নগুলোর উত্তর আমরা আপনাদেরকে ধীরে ধীরে দেওয়ার চেষ্টা করব। যদি আপনারা সে প্রশ্নগুলো আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে করে থাকেন। আপনাদের কোন প্রশ্নই বাদ দেওয়া হবে না। আপনারা যে যেভাবে প্রশ্ন করেন সবগুলোর প্রশ্নের উত্তর আমরা আপনাদেরকে দেব। তবে আপনি যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন।
আমরা এখানে অনেকগুলো উপায় শেয়ার করব। তার মানে এই নয় যে, আপনাকে একাধিক পদ্ধতিতে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকামের চেষ্টা করতে হবে। আপনি শুধুমাত্র একটা বিষয় নিয়েই টাকা ইনকাম করার চেষ্টা করলে আপনি দ্রুত ই কাজ শিখতে পারবেন এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইন
এক্সপার্ট লেভেল এর একটি কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। যদি এটি আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার জন্য হবে পানির মত সহজ। একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার কোডিং এর নলেজ থাকতে হবে। কিভাবে একটি ওয়েবসাইট কোডিং এর মাধ্যমে ডিজাইন করতে হয়। এবিষয়ে যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারবেন।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, একজন ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য কত দিন সময় আপনার প্রয়োজন হতে পারে। মূলত এটা নির্ভর করে আপনার শিখার আগ্রহের উপরে। যদি আপনি কয়েক মাসের মধ্যেই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে পরিপূর্ণ কোডিং আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলেই আপনি কয়েক মাসের মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট কিভাবে কোডিং এর মাধ্যমে ডিজাইন করতে হয়? সেটা জানতে পারবেন। ফলে আপনি একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবেও কাজ করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য মূলত কঠিন লেভেলের কোডিং শিখার প্রয়োজন হয় না। ওয়েব ডিজাইনের অধিকাংশ কাজ গ্রাফিক ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইনের দক্ষতা ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব দ্রুতই ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজটা করে ফেলতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন। ওয়েব ডিজাইন আর ওয়েব ডেভেলপার এর মধ্যে অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। একজন ওয়েব ডিজাইনার বেসিক কোডিং দিয়েই একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারে। কিন্তু একজন ওয়েব ডেভলপার হওয়ার জন্য আপনার এডভান্স লেভেলের কোডিং দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
গ্রাফিক ডিজাইন
একটু আগেই আমরা ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সেই ওয়েব ডিজাইনের হওয়ার জন্য কিছুটা গ্রাফিক ডিজাইনের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত ঝামেলায় না গিয়ে শুধুমাত্র একজন গ্রাফিক ডিজাইনের হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে এটি আপনার জন্য আরও সহজ হবে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যদি আপনার ডিজাইনের আগ্রহ থাকেন, তাহলে আপনার গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া সহজ হবে।
অনেকের ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ছবি আঁকার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন ছবি ডিজাইন করতে পারেন এবং বিভিন্ন দৃশ্য ডিজাইন করতে পারেন। যদি বিভিন্ন কোম্পানির লোগো এবং কোম্পানির ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট ডিজাইন করতে জানেন। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনার জন্য প্রতি মাসেই ৫০ হাজার টাকার উপরে ঘরে বসেই ইনকাম করা সহজ।
বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। কারণ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলো প্রতিনিয়তই তাদের পণ্যগুলোকে গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য গ্রাফিক ডিজাইনারদের সহায়তা নিয়ে থাকেন।
একজন সাধারণ গ্রাফিক ডিজাইনার কে যদি কোন একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেওয়া হয়। তার মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে হবে। তবে এডভান্স লেভেলের যারা গ্রাফিক ডিজাইনার রয়েছে। তারা সাধারণত একটি কোম্পানিতে কাজ করেন না। মূলত তারা একাধিক কোম্পানির হয়ে কাজ করে থাকেন। কারণ তাদের কাজের ডিমান্ডগুলো অনেক বেশি থাকে। ফলে একটি কোম্পানি তাদেরকে পেমেন্ট করেই স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে পারে না।
একজন এডভান্স লেভেলের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য আপনার দীর্ঘদিন সময় শিখার জন্য ব্যবহার করতে হবে। তবে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইন এর সফটওয়্যার গুলোকে ব্যবহার করতে শিখে যান। বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ ডিজাইন যদি তৈরি করতে পারেন। আপনি যে কোন একটি e-commerce প্রতিষ্ঠানে অথবা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই পুরানো একটি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ উপায় হলেও বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতার কারণে এটি কিছুটা ভিন্নভাবে অনেকেই ব্যবহার করতেছে। যদি আপনি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজন প্রাথমিকভাবে ট্রাফিক সোর্স। ট্রাফিক হচ্ছে অনলাইনের পাঠক বা অনলাইনের ক্রেতা। অনলাইন থেকে ক্রেতা বা ট্রাফিক পাওয়ার জন্য আপনাকে শিখতে হবে এসইও সম্পর্কিত নলেজ।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে যদি বেশি ধারণা আপনার থাকে, তাহলেই আপনি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমার ওয়েবসাইটটা এখনো অনেকটা ছোট একটি ওয়েবসাইট। তবুও এই ওয়েবসাইট থেকে আমি যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করি সে টাকা আমার জন্য যথেষ্ট।
বর্তমান সময়ে নিজের কোন ওয়েবসাইট না থাকলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে ফ্রি ট্রাফিক সোর্স ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ঘরে বসে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিভাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়? সে বিষয়ে আমাদের অনেকগুলো ভিডিও রয়েছে। সে ভিডিওগুলো আপনারা দেখতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার একটি ভিডিও নিচে যুক্ত করা হয়েছে। ভিডিওটি আপনারা সম্পূর্ণ দেখলেই বুঝতে পারবেন। কিভাবে ফ্রি ট্রাফিক সোর্স ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ঘরে বসে টাকা আয় করা যায়।
ভিডিওতে দেখানো পদ্ধতি ছাড়াও ঘরে বসে টাকা আয় করার আরো অনেকগুলো এফেক্টিভ মার্কেটিং কৌশল রয়েছে। যেগুলো আমরা পরবর্তীতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে লেকচার পার্ট হিসেবে আপলোড করব।
ডাটা এন্ট্রি কাজ
ডাটা এন্ট্রির কাজ হচ্ছে তাদের জন্যই যারা এন্ট্রি লেভেলের কাজগুলো করে সামান্য টাকা উপার্জন করার চেষ্টা করে থাকেন। অনলাইনে যারা ডাটা এন্ট্রি তে কাজ করে থাকেন, তারা কিন্তু অন্যান্যদের থেকে কম টাকা উপার্জন করেন না। কিন্তু ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির কাজ করা খুবই সহজ। ঘরে বসে টাকা আয় করার জন্য ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজগুলো নতুনদের জন্য উপযুক্ত।
যদি আপনি ঘরে বসে একজন নতুন অনলাইন ওয়ার্কার হিসেবে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে চান। আপনাকে ডাটা এন্ট্রির বিভিন্ন ছোট ছোট কাজগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। যেমন: ধরুন একটা এক্সেল ফাইলকে কিভাবে ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। আবার অনেকেই একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় একটি ফাইলকে ট্রান্সলেট করার কাজ দিয়ে থাকেন। এমনকি একাধিক এলোমেলো ফাইলকে সঠিক ফরম্যাটে ফরমেটিং করাই ডাটা এন্ট্রির কাজ।
সুতরাং আপনি বুঝতে পেরেছেন খুবই সহজ কিছু কাজ করে একজন ডাটা এন্ট্রি ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে অনলাইন থেকে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও ডাটা এন্ট্রির কাজ করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? এবিষয়ে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করেন, তাহলে ডাটা এন্ট্রি থেকে ইনকাম করার আরো অনেকগুলো ভিডিও লেকচার পেয়ে যাবেন। ইউটিউব থেকে আপনি শিখতে পারবেন। কিভাবে একজন ব্যক্তি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারে।
পরবর্তীতে আমরা ডাটা এন্ট্রির কাজ এবং কিভাবে করতে হয়? সে বিষয়ে সম্পর্কে আরো একটি তথ্যবহুল আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব। যার মাধ্যমে আপনারা ডাটা এন্ট্রির কাজের বিভিন্ন প্রকার এবং কাজ করার মাধ্যম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং
আমার এই ওয়েবসাইটে যে লেখাগুলো আপনারা পড়তেছেন। এই লেখাগুলো কিন্তু একজন কন্টেন্ট রাইটার লিখেছেন। তার মানে আমি যদি এই লেখাগুলোর রাইটার হয়ে থাকি, তাহলে আমি একজন কন্টেন্ট রাইটার। কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে প্রতি মাসেই একটা ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। তবে একটা ওয়েবসাইট শুরু করার সাথে সাথেই এই লক্ষ্যে আপনি পৌঁছাতে পারবেন না।
আমি আপনাকে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে টাকা খরচ করে নিজের একটা ওয়েবসাইট তৈরি করার পরামর্শ দিব না। বরং আপনি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেস গুলোতে কন্টেন্ট রাইটারদের চাহিদা উচ্চমানের। বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট বা এফিলিয়েট ওয়েবসাইট অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখা। এবং ব্লগের জন্য পোস্ট লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটারদেরকে হায়ার করা হয়। একজন কন্টেন্ট রাইটারকে প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দ লিখার জন্য ৫$ থেকে ২০$ ডলারেরও বেশি পেমেন্ট করা হয়।
যারা ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার রয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন দেশের বায়াররা মাসিক বেতনের মাধ্যমে হায়ার করেন। সুতরাং আপনি যদি একজন ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটার হতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোন এজেন্সি অথবা ব্যক্তির হয়ে একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে চাকরি করতে পারেন। এবং আপনার চাকরির মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায়
আমার ব্যক্তিগত পছন্দের তালিকায় ব্লগিং হচ্ছে সবার উপরে। ব্লগিং বিষয়টা এমন একটি বিষয় যদি আপনি একবার এর মজা বুঝতে পারেন, তাহলে কখনোই আপনি এটাকে ছাড়বেন না। এই যে আপনি আমার এই ওয়েবসাইটে এসে লেখাগুলো পড়তেছেন। এই ওয়েবসাইটটা হচ্ছে একটা ব্লগ ওয়েবসাইট। আর এই ওয়েবসাইটে আমি যে লেখালেখি করি, সেই লেখালেখির কাজগুলোই হচ্ছে ব্লগিংয়ের কাজ।
এই ছোট্ট ওয়েবসাইট টা ব্যবহার করেই প্রতি মাসে ১০০০০ টাকার বেশি উপার্জন করা হচ্ছে। আমি প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত লেখালেখির জন্য সময় দিয়ে থাকি। সাধারণত একজন ব্লগার যদি প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত আর্টিকেল লেখার জন্য সময় দিয়ে থাকেন, তাহলে সে ২ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই ১০০০০ টাকার বেশি প্রতি মাসেই একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে সক্ষম।
একজন ব্লগার হিসেবে আপনার কাজ করা শুরু করার জন্য প্রথমেই একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে একজন ওয়েব ডেভলপার বা ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে না। আপনি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোন একজন ওয়েব ডিজাইনার কে দিয়েই আপনার জন্য একটি ব্লগ ওয়েবসাইট ডিজাইন করে নিতে পারেন।
নিজের জন্য একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে মেসেজ করুন অথবা সরাসরি কল করতে পারেন। মোবাইল: +৮৮০১৩১৬৫২০৩৮২
অনেকেই নিজের লেখা কন্টেনগুলোকে অন্যের কাছে বিক্রি করতে চাই না। যারা কনটেন্ট বিক্রি করে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার জন্য আগ্রহী নয়, তাদের জন্য ব্লগিং হচ্ছে উপযুক্ত একটি ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়। এক্ষেত্রে আপনার লেখা কন্টেন্টগুলো আপনার কাছেই থাকবে। বরং আপনার লেখাগুলোকে আপনি প্রতি মাসেই মনিটাইজ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং হচ্ছে একটি প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যম। প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন একটি ইনকাম যেটি একবার শুরু হলে কখনো থেমে যায় না। সুতরাং আপনি যদি একজন ব্লগার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে আজকেই আপনার জন্য একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিন। এবং আপনার লেখার আগ্রহটাকে কাজে লাগিয়ে একজন ব্লগার হিসেবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারেন।
ইউটিউব থেকে ঘরে বসে টাকা ইনকামের সহজ উপায়
ভিডিও কনটেক বর্তমান সময়ে মানুষের কাছে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কারণ ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কোন একটা বিষয়কে আয়ত্ত করা সম্ভব হয়। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তির সকল মাধ্যমগুলো ভিডিওর মধ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। আপনি যদি একজন ভিডিও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে ইউটিউব চ্যানেল করেই আপনি আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারেন। এটাকে আপনার অনলাইনে ঘরে বসেই ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে চালিয়ে নিতে পারেন।
অনেকেই আবার ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে সংকোচ বোধ করেন। কিছুদিন যদি আপনি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার নিয়ে প্র্যাকটিস করেন। আপনার সংকোচ করার বিষয়টি চলে যাবে। অনায়াসেই আপনি যেকোন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারাটা হচ্ছে অনেক বড় একটি আর্ট। সাধারণ যে কেউ চাইলেই ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারে না। কোনো জড়তা ছাড়া যদি আপনি কথা বলতে পারেন। মনে রাখবেন এটি আপনার অনেক ভালো একটি দক্ষতা।
সুতরাং আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল দাঁড় করাতে চান, তাহলে আজকেই আপনার google একাউন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজে একটি ফ্রি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিতে পারেন।
একটি ইউটিউব চ্যানেল দাঁড় করানোর জন্য শুধুমাত্র আপনার হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সব কাজ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিট করার জন্য অনেকগুলো ভালো সফটওয়্যার মোবাইলের মধ্যেই ব্যবহার করা যায়। সুতরাং যদি আপনি একজন ভালো ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজের ক্রিয়েটিভ আইডিয়াগুলো ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা প্রয়োজন।
ডিজিটাল মার্কেটার
ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করা, টুইটারে গিয়ে টুইট করা, এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা, ভিডিওগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করা, এই সকল খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানলেই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করা যায়। তবে শুধুমাত্র শেয়ার করে দিলেই আপনার কাজ শেষ নয়। আপনাকে রিচার্জ করতে হবে আসলেই আপনার শেয়ার করা কন্টেন্টগুলো কতটুকু ফলাফল নিয়ে আসছে।
অনেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন একটা পোস্ট শেয়ার করেই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে দাবি করে বসে। একজন ডিজিটাল মার্কেটের হওয়ার জন্য আপনার ৩৬০ ডিগ্রি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের অ্যালগরিদম রিসার্চ, কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগরিদম গুলো কাজ করে, সে সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা, কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে বেসিক ধারণা থাকতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া online জগৎটা অচল বলা যায়। তাই আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান। আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কৌশল গুলোকে শিখতে হবে।
প্রাথমিকভাবে যদি আপনি ৪ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে শেখা শুরু করেন। কাজগুলোকে নিয়মিত সঠিকভাবে প্র্যাকটিস করেন। তাহলে বেসিক লেভেলের একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবেন।
কেউ জন্মের সাথে সাথে কোন কাজ শিখে আসে না। কাজটা আপনাকে সময় নিয়ে শিখতে হবে। কাজ না শিখেই নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দেওয়াটা আসলেই উচিত নয়। কারণ এটি আপনার সম্মানের থেকে অসম্মান বেশি নিয়ে যাবে। সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জ্ঞান অর্জন না করে যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটে হিসেবে নিজেকে পরিচয় করাতে চান, তাহলে আপনি পরবর্তীতে কাজ শিখার পরেও নিজের স্থানটা দখল করতে পারবেন না।
সুতরাং প্রাথমিকভাবে আপনার উচিত কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অ্যালগরিদম কাজ করে? এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি কাজগুলো আপনাকে শিখতে হবে? এবং একজন ডিজিটাল মার্কেটার পরিচয় দেওয়ার জন্য কোন কোন সেক্টর গুলো আপনাকে বিল্ড করতে হবে? সে বিষয়ে সঠিকভাবে রিসার্চ করা।
যদি মনে করেন আপনি এখন নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার জন্য যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেকগুলো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন। তাহলেই আপনি বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে একজন ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে চাকরি করতে পারেন। যেটি অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার একটি সহজ উপায় বলা যায়।
এছাড়াও অনলাইনে ঘরে বসে আয় করার আরো একটি সহজ উপায় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন বায়ারের হয়ে কাজ করা। ডিজিটাল মার্কেটারদের উচ্চমানের টাকা দিয়ে বায়াররা হায়ার করে থাকেন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটার ছাড়া একটি ওয়েবসাইটকে গ্রো করা অথবা একটি অনলাইন বিজনেসকে এগিয়ে নেওয়া যাওয়া সম্ভব নয়।
রিসেলার হিসেবে
ঘরে বসে আয় করার আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে রিসেলার হিসেবে কাজ করা। রিসেলার বলতে এমন একটি কাজকে বোঝানো হয় যার জন্য নিজের কোন ব্যক্তিগত প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনি আপনার ট্রাফিক সোর্স ব্যবহার করে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকে ব্যবহার করে অন্যজনের পণ্যগুলোকে বিক্রি করবেন। অন্যজনের পণ্যগুলো আপনি তার কাছ থেকে ক্রয় করে পুনরায় সেগুলোকে বিক্রি করার যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে সেটাকে রিসেলার বলা হয়।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের মধ্যে রিসেলিং এর কাজটা অনেকটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কারণ এই কাজটি করার জন্য নিজের বেশি বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। যারা প্রফেশনাল ভাবে রিসেলিং এর কাজ করতে চাই তাদের জন্য একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। তবে আপনি চাইলে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট না করে বিভিন্ন ফ্রি ওয়েবসাইট ব্যবহার করেও একজন রিসেলার হিসেবে অনলাইনে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনাদের আগ্রহ থাকলে আমরা রিসেলার হওয়ার পরিপূর্ণ একটি গাইড নিয়ে একটি ব্লগ আর্টিকেল প্রকাশ করব। যার মাধ্যমে আপনারা রিসেলার হিসেবে খুব সহজেই অনলাইনে ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারবেন। ইতিমধ্যে আমাদের কিছু ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেই ভিডিওগুলোতে আমরা রিসেলিং করার জন্য বিভিন্ন উপায় শেয়ার করেছি।
ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
আর্টিকেলটিতে আমরা চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব ঘরে বসে টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা। আশা করছি আপনারা এই লেখাটি পড়েই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ঘরে বসে টাকা আয়ের আরো একাধিক জনপ্রিয় পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলো নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের এই ওয়েবসাইটে পরবর্তীতে আর্টিকেল প্রকাশ করব। ইতিমধ্যে যে সকল আর্টিকেলগুলো প্রকাশিত হয়েছে। সে সকল আর্টিকেলগুলো আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন আরও একাধিক মাধ্যমে গড়ে বসেই অনলাইন থেকে উপার্জন করা সম্ভব।
আমাদের আর্টিকেলগুলোকে সাপোর্ট করার জন্য আপনারা কমেন্ট করে উৎসাহী করবেন। এবং আর্টিকেলগুলো আপনারা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। যার মাধ্যমে আমরা আরও দ্রুত কন্টেন্ট তৈরিতে মনোযোগী হতে পারব। এবং ভালো মানের কন্টেন্ট আপনাদের জন্য লিখতে পারবো।
আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখাগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে? সে বিষয়ে জানানোর জন্য আমাদেরকে কমেন্ট করবেন। সে সাথে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনারা আমাদেরকে অনুসরণ করতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ! ভাই!!