আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম (বিস্তারিত) 

আমেরিকা হলো বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানে রয়েছে নায়াগ্রা জলপ্রপাত, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, টাইমস স্কয়ার, হোয়াইট হাউস, এবং হলিউডের মতো বিখ্যাত জায়গা। এ ছাড়া অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য আলাস্কার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোও আকর্ষণীয়।

যার কারণে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে ইউএসএ অনেকটাই সপ্নের দেশ। এই সপ্নের দেশে পাড়ি জমানোর জন্য আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় যত তথ্য রয়েছে তার সবটাই পাবেন এই আর্টিকেলে। 

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

আমেরিকা ভ্রমণ করার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, কিন্তু সেখানে প্রবেশের জন্য প্রথমে একটি টুরিস্ট ভিসা আবশ্যক। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে, যাতে আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা সহজ হয়। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া। 

  • প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করুন

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস প্রস্তুত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: পাসপোর্ট (যার মেয়াদ আপনার ভ্রমণের তারিখের পরে কমপক্ষে ছয় মাস থাকবে), ভিসা আবেদন ফর্ম (এফ-১/এফ-২), এবং দুইটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এছাড়া, আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণও প্রয়োজন হবে।

  • অনলাইনে আবেদন করুন

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে U.S. Department of State ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে DS-160 ফর্ম পূরণ করুন। ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

  • আবেদন ফি জমা দিন 

ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। এই ফি বিভিন্ন ভিসার ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত। ফি জমা দেওয়ার পর, আপনার কাছে একটি রসিদ থাকবে যা আপনাকে সাক্ষাৎকারের সময় দেখাতে হবে।

  • সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নির্ধারণ করুন

আপনার আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য সময় নির্ধারণ করতে হবে। এটি সাধারণত স্থানীয় মার্কিন দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে হয়। সাক্ষাৎকারের সময় আপনি আপনার নথিপত্র এবং আবেদন ফি রসিদ নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

  • সাক্ষাৎকার দিন

সাক্ষাৎকারের দিন, আপনার আত্মবিশ্বাসী এবং সৎভাবে উত্তর দিতে হবে। কর্মকর্তারা আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ফিরে আসার মানসিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। তাদের সন্তুষ্ট করতে পারলে আপনার ভিসা অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন:   সরকারি চাকরির খবর, সুযোগ, সুবিধা ও টিপস

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে?

#১. পাসপোর্টে অন্যান্য দেশের ভিসার উপস্থিতি

ইউএসএ ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টে অন্যান্য দেশের ভিসা থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি দেখায় যে আপনি একজন অভিজ্ঞ ভ্রমণকারী এবং ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।

যদি আপনার পাসপোর্ট একদম ফাঁকা (সাদা পাসপোর্ট) হয়, তাহলে ভিসা অফিসারদের মনে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। কারণ তারা ভাববেন, “যে ব্যক্তি নিজের আশপাশের দেশগুলোও ভ্রমণ করেনি, সে হঠাৎ কেন ইউএসএ যেতে চাচ্ছে?” তাই আপনার পাসপোর্টে অন্তত কয়েকটি দেশের ভিসা থাকা ভালো। 

যেমন, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বা অন্য কোনো দেশের ভিসা আপনার ইউএসএ ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। তবে, যদি আপনার পাসপোর্টে ভিসা না থাকে, তাহলে ভিসা পাওয়ার আরেকটি বিকল্প আছে, যা আমরা পরে আলোচনা করব।

#২. ইনভাইটেশন লেটার (প্রয়োজনে)

আপনার যদি কোনো আত্মীয় বা বন্ধু ইউএসএ-তে থাকে এবং আপনাকে তাদের কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায়, তবে এটি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  • যদি কেউ আপনাকে একটি বিয়েতে আমন্ত্রণ জানায়।
  • পরিবারের কোনো প্রোগ্রাম বা রিইউনিয়নে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানায়।

এই ধরণের ইনভাইটেশন থাকলে আপনার পাসপোর্টে অন্যান্য দেশের ভিসা না থাকলেও ইউএসএ ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া, যদি আপনি চাকরি বা ব্যবসার কারণে কোনো সেমিনারে অংশ নিতে চান এবং সেই সেমিনারের জন্য একটি আমন্ত্রণপত্র থাকে, তাও একটি শক্তিশালী কারণ হতে পারে।

যদি আপনার কোনো আত্মীয় না থাকে?


সেক্ষেত্রে, আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন যদি আপনার কোনো প্রফেশনাল কারণ থাকে। যেমন, ইউএসএ-তে সেমিনার, ট্রেনিং বা ব্যবসার কাজে অংশ নেওয়া।

#৩. ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাটাস ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট

আপনার ফাইনান্সিয়াল অবস্থার প্রমাণ ভিসা পাওয়ার জন্য অপরিহার্য। ভিসা অফিসারদের বোঝাতে হবে যে আপনার আর্থিক অবস্থা ভালো এবং আপনি ইউএসএ-তে গিয়ে পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করার খরচ বহন করতে পারবেন।

যদি আপনার মাসিক আয় ২০-২৫ হাজার টাকার মতো হয় এবং আপনি দাবি করেন যে আপনি ইউএসএ-তে ঘুরতে যাবেন, তাহলে ভিসা অফিসারদের জন্য এটি বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। তাই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ থাকা জরুরি।

আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টের পাশাপাশি আপনার চাকরি বা ব্যবসার কাগজপত্রও জমা দিতে হবে। এগুলো দেখাবে যে আপনি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং ইউএসএ থেকে ফেরত আসবেন।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?


ভিসা অফিসাররা আপনার আবেদন পরীক্ষা করে দেখেন, আপনি ইউএসএ-তে গিয়ে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন কি না। তারা যদি মনে করেন আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, তাহলে তারা আপনাকে ভিসা দিবেন। তাই আপনার ফাইনান্সিয়াল স্ট্যাটাস শক্তিশালী হতে হবে।

আরও পড়ুন:   ১২টি বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় ও টিপস

#৪. ডিএস-১৬০ ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা

যেকোনো বি-১/বি-২ ভিসার জন্য আপনাকে ডিএস-১৬০ (DS-160) ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মটি আপনার ভিসার ৬০% কাজ সম্পন্ন করে। ফর্মটিতে আপনার সম্পূর্ণ তথ্য যেমন, আপনার পাসপোর্ট, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, অন্যান্য দেশের ভ্রমণের বিবরণ, ব্যক্তিগত এবং প্রফেশনাল তথ্য থাকে।

ফর্ম পূরণের সময় কোনো ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। ভুল তথ্য দিলে ভিসা অফিসাররা তা সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন এবং তখন আপনার ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

উদাহরণস্বরূপ:


আপনি যদি আগে কোনো দেশে ভ্রমণ করে থাকেন, কিন্তু ফর্মে ভুলবশত সেই তথ্য উল্লেখ না করেন, তাহলে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

কিভাবে DS-160 ফর্ম পূরণ করবেন?


ফর্ম পূরণের জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে এ বিষয়ে একজন পেশাদারের সাহায্য নিতে পারেন। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার ফর্মটি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে।

#৫. ইন্টারভিউ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

B1/B2 ভিসার জন্য আপনাকে একটি ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউটি এমন একটি ধাপ, যেখানে ভিসা অফিসার আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন যে আপনাকে ভিসা দেওয়া হবে কি না।

ইন্টারভিউতে কীভাবে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন?

  • আপনার কথাবার্তা স্পষ্ট এবং সত্য হতে হবে।
  • আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ইতিবাচক থাকা জরুরি।
  • যে প্রশ্ন করা হবে, তার উত্তর সহজভাবে এবং সঠিক তথ্য দিয়ে দিতে হবে।
  • আপনার ডিএস-১৬০ ফর্মে যেসব তথ্য দেওয়া আছে, তার সাথে আপনার কথার মিল থাকা আবশ্যক।

ভাষার জন্য কী করবেন?


আপনি ইন্টারভিউতে বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো ভাষায় কথা বলতে পারেন। ভাষা কোনো সমস্যা নয়। তবে আপনার উত্তরগুলো ভিসা অফিসারকে বোঝাতে হবে যে আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।

আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা (বি১/বি২) – কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আমেরিকার ভিসা পাওয়া অনেকের জন্য স্বপ্নের মতো। তবে সম্প্রতি ইউএস এম্বাসি ঢাকা থেকে নতুন কিছু নিয়ম এবং সতর্কবার্তা প্রকাশিত হয়েছে, যা বি১/বি২ নন-ইমিগ্রান্ট ভিসার আবেদনকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়ম না মানলে আপনার ভিসার আবেদন বাতিল হতে পারে। 

ইউএস এম্বাসি ঢাকা তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানায়, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো আবেদনকারীর ভিসা ইন্টারভিউ কেবল তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যদি তার বৈধ DS-160 ফর্ম জমা থাকে। DS-160 হল ভিসার আবেদন ফর্ম, যা অনলাইনে পূরণ করতে হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী:

  • এক বছরের বেশি পুরনো DS-160 ফর্ম অবৈধ

এক বছরের বেশি সময় আগে জমা দেওয়া DS-160 ফর্ম দিয়ে ইন্টারভিউ ডেট নিলে তা বাতিল হবে।

  • ইন্টারভিউর ৭ দিনের মধ্যে DS-160 জমা দেওয়া যাবে না
আরও পড়ুন:   মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ১০টি সহজ উপায় - ২০২৩

ইন্টারভিউর মাত্র সাত দিন আগে ফর্ম পূরণ করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।

  • ইন্টারভিউ ডেট লক হওয়ার নিয়ম

সাত দিন আগে থেকেই আপনার প্রোফাইল লক হয়ে যায়, এবং নতুন তথ্য আর আপডেট করা সম্ভব নয়।

করোনা মহামারির আগে ইন্টারভিউ ডেট পাওয়া সহজ ছিল। কিন্তু এখন আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ ডেট পেতে অনেক মাস বা এমনকি এক বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে অনেকেই পুরনো DS-160 ফর্ম ব্যবহার করে ইন্টারভিউ ডেট নেন। কিন্তু এখন এই নিয়ম না মানলে ভিসা ইন্টারভিউ বাতিল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত?

টুরিস্ট ভিসাসহ সাধারণ অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন ফি নির্ধারিত হয়েছে $160 মার্কিন ডলার। একই পরিমাণ খরচ ব্যবসায়িক, ছাত্র বিনিময়, এবং পর্যটকদের জন্যও প্রযোজ্য। তবে, বিশেষ ভিসার ক্ষেত্রে ফির ভিন্নতা রয়েছে:

  • ধর্মীয় ভিসা ও পিটিশন ভিসা: $190 মার্কিন ডলার
  • কাজের ভিসা: $190 মার্কিন ডলার
  • K ক্যাটাগরি ভিসা: $260 মার্কিন ডলার
  • E ক্যাটাগরি ভিসা: $210 মার্কিন ডলার

ভিসা আবেদনের পূর্বশর্ত

আমেরিকায় প্রবেশের জন্য অন্য দেশের নাগরিকদের অবশ্যই একটি বৈধ ভিসা প্রয়োজন। ভিসাটি ভ্রমণকারীর পাসপোর্টে সংযুক্ত থাকে, আর পাসপোর্ট হলো তাদের নিজ দেশের ইস্যুকৃত ভ্রমণ ডকুমেন্ট।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি ই-পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সহজলভ্য। আপনার কাছে যদি পাসপোর্ট না থাকে, তাহলে দ্রুত এটি তৈরি করে নিন।

গুরুত্বপূর্ণ শর্তসমূহ:

১) ভ্রমণের অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে পাঁচটি দেশের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। নতুন ভ্রমণকারীদের জন্য আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়া কঠিন, কারণ ভিসাটি সাধারণত অভিজ্ঞ ভ্রমণকারীদের দেওয়া হয়।

২) পাসপোর্টের অবস্থা: পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৮ মাস থাকতে হবে। পাসপোর্টে ৩টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। তাই মেয়াদ শেষের তারিখ এবং রিনিউ করার তারিখ সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

৩) আবেদনপত্র সম্পর্কিত শর্ত: পাসপোর্টের সঠিক নম্বর উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে নাম নির্ভুলভাবে লিখুন। পাশাপাশি একটি স্ক্যান করা ছবি জমা দিতে হবে।

৪) ঠিকানা ও পরিচয়পত্র: ভোটার আইডি ও জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য এক হতে হবে। ইউটিলিটি বিলের সাথে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মিলতে হবে।

৫) ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার পেশার সঠিক বিবরণ দিন। আবেদনপত্রে সঠিক এরিয়া (অঞ্চল) নির্বাচন করুন।

৬) আবেদন জমা দেওয়ার নিয়ম: আবেদনপত্র পূরণের ৮ দিনের মধ্যে ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হবে। ভিসা জমাদানকারী সেন্টার এবং ফি জমাদানকারী সেন্টারের নাম একই হতে হবে।

সাধারণত এই শর্তগুলো মেনে চললে ভিসা প্রক্রিয়ায় ঝামেলা কম হবে এবং ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

চুড়ান্ত মন্তব্য 

আশা করি উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। অবশ্যই মনে রাখবেন অবৈধ্য উপায় অবলম্বন করে ভিসা পেতে যাবেন না, এতে করে পরবর্তীতে অনেক ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অফিসিয়াল নিয়ম অনুসরণ করে ভিসা আবেদন করুন আর সকল প্রকার ঝামেলা মুক্ত থাকুন। 

Leave a Comment