আসসালামু-আলাইকুম বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসছি সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের স্বাস্থ্যকর এবং খুবই মজাদার রেসিপি ডিমের লাচ্ছি।
খুব অল্প উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার ডিমের লাচ্ছি। বাড়ির ছোট বড় সবার মন মতো হবেই এই ডিমের লাচ্ছি। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে ঝটপট বানিয়ে পেলুন সুস্বাদু ডিমের লাচ্ছি।
এই ডিমের লাচ্ছি বিশেষ করে ছোটদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ আপনারা তো জানেন ডিম আর দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। যা তাদের শরীর সুস্থ রাখে এছাড়া বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়।
এই রেসিপিটি রান্না করতে আমাদের বেশি কিছু উপকরণ লাগবেনা। আমাদের সবার বাড়িতে দেখা যায় দুধ আর ডিম থাকেই। এই দুইটা উপকরণ দিয়ে আপনারা তৈরি করতে পারেন স্বাস্থ্যকর ডিমের লাচ্ছি।
তো বন্ধুরা চলুন আর দেরি না করে তৈরি করে পেলি মজাদার রেসিপি ডিমের লাচ্ছি।
রেসিপিটি রান্না করার জন্য আমাদের যা উপকরণ লাগবে সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
• দুধ। (হাফ লিটার)
• ডিম। (দুইটা)
• চিনি। (হাফ কাপ)
• লবণ। (স্বাদমতো)
• এলাচ। (দুইটা)
সুস্বাদুকর ডিমের লাচ্ছির প্রস্তুতপ্রণালিঃ
১. প্রথমে আমরা দুইটা ডিম বাটির মধ্যে ফেটে ভালো করে গুলে নিব।
২. তারপর একটা কড়াইতে হাফ লিটার দুধ গরম করতে দিব।
৩. এর মধ্যে দিয়ে দিব দুটি এলাচ। এলাচের মুখটা একটু ফেটে দিব। যাতে করে ফ্লেভার ভালো হয়।
৪. এবার দুধ গুলো বার বার নাড়াতে থাকব যাতে দুধের চার পাশে স্বর বসে না যায়।
৫. দুধ একটু ঘন হয়ে এলে দুধের মধ্যে হাফ কাপ চিনি দিয়ে দিব। আপনারা চাইলে আপনাদের স্বাদমতো দিতে পারেন কারণ অনেকে মিস্টি কম বা বেশি খায়।
৬. তারপর এর মধ্যে দিয়ে দিব স্বাদমতো লবণ। লবণটা চাইলে আপনারা নাও দিতে পারেন। যে যেরকম পছন্দ করেন। আমি দিছি কারণ লবণ দিলে মিস্টির স্বাদটা খেতে সুন্দর হয়।
৭. দুধের মধ্যে ফাটানো ডিম দুইটা দিয়ে দিব তবে একেবারে দিয়ে দিবেন না গুলোনো ডিমটা এটা কিছুক্ষণ পর পর দিতে হবে।
৮. ডিম দেওয়া শেষ হলে ভালো করে নেড়ে দুধ আর ডিম যখন ঘন হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিব।
সবকিছু শেষ হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে বাটিতে নিয়ে এর উপর কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করব মজাদার ডিমের লাচ্ছি।
তো বন্ধুরা আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগলে আপনারাও তৈরি করে পেলুন মজাদার এবং স্বাস্থ্যকর ডিমের লাচ্ছি।
হ্যালো, আমি তাওহিদ। আমি একজন প্রফেশনাল ব্লগার, ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, এবং বিজনেস কনসালটেন্ট। অনলাইনে ২০১৮ সাল থেকে আমি দক্ষতা ও আগ্রহের সাথে কন্টেন্ট তৈরি ও অনলাইন ব্যবসা করে আসছি। আমার লেখা সব কন্টেন্ট সাধারণত অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, ব্যবসা, ও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রকাশ হয়।
ডিম একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার যা আপনার ডায়েটে একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। স্বাস্থ্যকর ডিমের কাঠি তৈরির জন্য এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে:
1. পুরো ডিম ব্যবহার করুন: ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার না করে, পুরো ডিম ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন, যাতে আরও পুষ্টি থাকে এবং প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি ভাল উৎস।
2. স্বাস্থ্যকর টপিংস বেছে নিন: পনির এবং বেকনের মতো উচ্চ-চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত টপিংস দিয়ে আপনার ডিমের স্টিকগুলি লোড করার পরিবর্তে, সবজি, ভেষজ এবং মশলাগুলির মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলি ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।
3. একটি নন-স্টিক প্যান ব্যবহার করুন: রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় তেল বা মাখনের পরিমাণ কমাতে একটি নন-স্টিক প্যান বা নন-স্টিক আবরণযুক্ত প্যান ব্যবহার করুন।
4. ডিম বেশি সেদ্ধ করবেন না: ডিম বেশি রান্না করলে রাবারি টেক্সচার হতে পারে এবং কিছু পুষ্টি উপাদানও নষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত রান্না রোধ করতে, ডিমগুলি পুরোপুরি সেট হওয়ার আগে তাপ থেকে সরিয়ে ফেলুন।
5. বিভিন্ন রান্নার পদ্ধতির সাথে পরীক্ষা করুন: আপনার ডিমের কাঠিগুলি ভাজার পরিবর্তে, একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্পের জন্য সেগুলিকে বেক বা সিদ্ধ করার চেষ্টা করুন।
আমি আশা করি এই টিপস আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ডিমের কাঠি তৈরি করতে সাহায্য করবে! যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার জানতে দিন।
আপনার চিন্তাশীলতা এবং উদারতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. আপনার উদারতা ব্যাপকভাবে প্রশংসা করা হয় এবং আমার জীবনে একটি পার্থক্য তৈরি করেছে। আমি আপনাকে একজন বন্ধু হিসাবে পেয়ে কৃতজ্ঞ এবং আপনার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। আবার আপনাকে ধন্যবাদ
Egg রেসিপি দারুণ হল্।